বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি :
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সংকটে আর কষ্ট পেতে হবে না। রোগীদের নিরবিচ্ছিন্নভাবে অক্সিজেন সুবিধা দিতে মঙ্গলবার চালু করা হয়েছে ৬ হাজার লিটারের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন সিলিন্ডার। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আক্তারুজ্জামান অক্সিজেন প্লান্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় মেডিকেল কলেজের অবেদন (অ্যানেস্থেসিয়া) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. আরিফ আহমেদ জানান, হাসপাতালে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ বেশি। প্রতিদিন ছোট সিলিন্ডার ভরে আনতে হতো। রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেক সময় শতভাগ অক্সিজেন সুবিধা পেতে রোগীকে অন্য হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে। এই কষ্ট রোগীদের লাঘব হয়েছে। হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন সিলিন্ডার চালু হওয়ায় রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন দেয়া সম্ভব হবে। তিনি আরো জানান, প্রথম অবস্থায় করোনা রেডজোন ও আইসিইউতে হাইফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। করোনা রোগীদের অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হবে। আরএমও ডা. আরিফ আহমেদ জানান, সাধারণ সিলিন্ডারে প্রতি মিনিটে ১৫ লিটার অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের দরকার হয় তাদের ৫০ ভাগ সুস্থ হয়ে যান ১৫ লিটারের মধ্যেই। কিন্তু এরপরও যাদের অতিরিক্ত অক্সিজেন দরকার হয় তাদের জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা যন্ত্র লাগে। এটা দিয়ে ৫০/৬০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেয়া সম্ভব। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আক্তারুজ্জামান জানান, অক্সিজেন অভাবে রোগী যে কোন সময় মারা যেতে পারে। যে কারণে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ৬ লিটারের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন সিলিন্ডার চালুর করা হয়েছে। এখন থেকে রোগী চাহিদামতো অক্সিজেন পাবে। আবার অক্সিজেনের সাশ্রয় করাও সম্ভব হবে। যেটা ছোট সিলিন্ডারে সম্ভব ছিলোনা। তত্ত্বাবধায়ক আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগীর শারীরিক অবস্থা ঝুঁকির মধ্যে চলে যায় তাদের বেশিরভাগেরই দরকার হয় উচ্চমাত্রার অক্সিজেন। তার জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। এটি চালুর করার ফলে রোগীদের দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে।