ডেস্ক নিউজ:
ঢাকা বোট ক্লাবে মধ্যরাতে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় তদন্তের স্বার্থে সাভার মডেল থানায় চিত্রনায়িকা পরী মণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ব্যক্তিগত গাড়িতে সাভার মডেল থানায় উপস্থিত হন মামলার বাদী পরী মণি। এ সময় তাঁর সঙ্গে কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।মামলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে টানা প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা থানায় অবস্থানের পর সন্ধ্যায় সদলবলে থানা ত্যাগ করেন পরী মণি।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে পরী মণি বলেন, আগামীকাল থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। তার আগেই তিনি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁর সঙ্গে ঠিক কী কী ঘটেছিল সেসব বিস্তারিত বলতেই থানায় এসেছেন।
পরী মণি বলেন, ‘সেদিন ওখানে যা যা ঘটেছিল আজ সেটাই আমার নিজের মুখে বলতে হয়েছে। যেহেতু তারা (পুলিশ) যা শুনেছে, তা মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছে। তারা তো আমার মুখে শোনেনি। আজ সেগুলোই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
পরী মণি বলেন, ‘সবাই আমাকে এত বেশি সাপোর্ট দিচ্ছে যে, সবার সাপোর্ট পেয়ে আমি খুবই খুশি।’
এর আগে দুপুরে খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সাভার মডেল থানার সামনে ভীড় করলে পুলিশ প্রধান দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় থানায় প্রবেশাধিকার সীমিত করে দিলে ভোগান্তির মুখে পড়েন সেবা প্রত্যাশীরা।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, পরী মণির মামলায় সাভার থানা হাজতে পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, উত্তরা ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও পরী মণির বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমি। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করতেই পরী মণিকে থানায় ডাকা হয়েছে।
গত ৯ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে পরী মণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করা হয়। পরে গত ১৪ জুন সাভার মডেল থানায় পরী মণি বাদী হয়ে নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও অমি পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গত ২৩ জুন তাঁদের সাভার মডেল থানায় রিমান্ডে আনা হয়।