ডেস্ক নিউজ:
দেশে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন শুধু তাদেরকেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে, যাদের প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮ সপ্তাহ পূরণ হয়েছে এবং দ্বিতীয় ডোজের জন্য এসএমএস পেয়েছেন। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত যারা টিকা নেননি তাদের প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রমও চলছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ডোজ নেওয়া প্রায় সবার কাছে এসএমএসের মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ ও কেন্দ্র জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো কারণে কেউ যদি প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও দ্বিতীয় ডোজের সময় ও কেন্দ্রের তথ্য এসএমএসে না পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেওয়ার ঠিক দুই মাস পর আগের কেন্দ্রে গিয়ে টিকা কার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
ঢাকাসহ সারা দেশে এক হাজার ১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে করোনা টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়।
এদিন দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে করোনার টিকা নেন সেবিকা রুনু। তিনি ছাড়াও ওইদিন টিকা নেন- চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে বুধবার (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে মোট টিকাগ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ২৯১ ও নারী ২১ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ জন। তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন মোট ৯৩৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, তাদের হাতে এখনও ৪৬ লাখের কিছু বেশি টিকা মজুদ আছে।