ডেস্ক নিউজ:
আজ পবিত্র শবেবরাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি ইবাদত বন্দেগিতে কাটান ধর্মপ্রিয় মুসলমানরা। ভাগ্য রজনীতে প্রথম আকাশে এসে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফসহ সব ধরনের দোয়া কবুল করেন। এ দিনকে কেন্দ্র করে বিশেষ খাবার তৈরি, আতশবাজি ও পটকা ফুটানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। বছর ঘুরে আবারো এল শবেবরাত। ভাগ্য রজনীতে সৃষ্টিকর্তার কাছে যাবতীয় চাহিদা তুলে ধরতে প্রস্তুত মুসলিম উম্মাহ। এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করছে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। বিধিনিষেধের কারণে গত বছর শবেবরাতে মসজিদে আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকছে দোয়া-মোনাজাতসহ নানা আয়োজন।
মসজিদের এক খাদেম জানান, স্যাভলন ও জীবাণুমুক্ত কেমিক্যাল দিয়ে মসজিদ পরিষ্কার করা হয়েছে।
বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ এই রাত নিয়ে সমাজে কিছু কুসংস্কার বিদ্যমান জানিয়ে ইসলাম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতশবাজি, পটকা ফুটানো ও বিশেষ খাবার তৈরি করাকে ইসলাম সমর্থন করে না।
মসজিদের ইমাম বলেন, শবেবরাত নফল ইবাদত। যে জন্য যারা অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিরা মসজিদে আসবেন না। আর যারা আসবেন তারা অবশ্যই মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।
দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসের ১৪ তারিখ মধ্যরাতে জান্নাতুল বাকীর কবরস্থানে গিয়ে দোয়া করেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হাদিসে এসেছে, এ রাতে শিরককারী ও অহংকারী ছাড়া সব ধরনের পাপ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।
বান্দার গুনাহ মাফসহ সব আবেদন কবুল করতে ১৪ শাবান সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা দয়ার দৃষ্টিতে প্রথম আকাশে অবস্থান করেন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের গভর্নর ড. কাফীলুদ্দিন সরকার সালেহী বলেন, এ রজনীতে আতশবাজি, বিশেষ খাবার তৈরি করা ইসলাম সমর্থন করে না। আমরা এসব কার্যক্রম থেকে দূরে থাকব।