ডেস্ক নিউজ:
ডানেডিনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ট্রেন্ট বোল্টের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বল উড়িয়ে তামিম ইকবাল হয়তো বোঝাতে চেয়েছিলেন দিনের বাকি সময়টা বেশ ভালোই যাবে। ওই ছক্কা হাঁকিয়েই দলের ও নিজের রানের খাতা খুলেছিলেন তামিম। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের বিধ্বংসী বোলিং আর ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে দিনের সূর্যটা মেঘে ঢাকা পড়েছে। ৪১.৫ ওভারে মাত্র ১৩১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ডানেডিনের উইকেট সিম মুভমেন্ট। তাই নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট সাউদিকে বিশ্রামে রেখে খেলিয়েছেন ম্যাট হেনরিকে। যার মূল দক্ষতা সিম মুভমেন্ট। এদিকে সুইংয়ের জন্য তো ট্রেন্ট বোল্ট আছেই। সেই বোল্টের কাছেই পরাস্ত হয়ে একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।
ইউনিভার্সিটি ওভালের ছোট মাঠে জন্মদিনে খুব একটা ঝলক দেখাতে পারলেন না তামিম। বোল্টের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই এলবির ফাঁদে পরে ১৫ বলে ১৩ রান করে ফিরেছেন তিনি। এরপরে টপ অর্ডারে ব্যাট করেতে এসে সৌম্য টিকলেন মাত্র তিন বল। বোল্টের করা বলেই ডেভন কনওয়ের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হয়ে শূন্য রানে ফিরলেন তিনিও। ১৯ রানে তখন দলের দুই উইকেট নেই।
তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ধীর গতিতে রান তুলতে থাকলেও বেশিক্ষণ আশা দেখাতে পারেননি এ জুটি। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৪২ রানের মাথায় জেমস নিশামের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে আসেন লিটন। আর প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করা মুশফিকুর রহিমও সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যেতে পারলেন না দলকে। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় ৪৯ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে স্লিপে থাকা মার্টিন গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর দলের স্কোরবোর্ডে মাত্র তিন রান যোগ হতেই রান আউট হয়ে ফিরতে হয় মোহাম্মদ মিঠুনকে। এরপর উইকেটে আসা মেহেদি হাসান মিরাজ উইকেটে টিকতে পারলেন না খুব বেশি সময়। মিচেল স্যান্টনারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে মাত্র এক রান যোগ করতে পেরেছিলেন নামের সঙ্গে।
এরপর তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ সময়ের জুটি গড়ে রিয়াদ করেছেন ২৭ রান। দলের পক্ষে এটাই সর্বোচ্চ রানের স্কোর। আর তাসকিন করেছেন ৩২ বলে ১০ রান। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটিটাই টাইগারদের ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি।
কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৮.৫ ওভার বল করে মাত্র ২৭ রানের বিনিময়ে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ এবং তাসকিনের উইকেট নেন তিনি।