1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

বিদেশী গনমাধ্যমগুলোর শিরোনামেও তাসনুভা শিশির

  • সময় : বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১
  • ৪৫০

ডেস্ক নিউজ:

দেশে প্রথমবারের মতো ট্রান্সজেন্ডার সংবাদ পাঠক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাসনুভা আনান শিশির। গত ৮ মার্চ থেকে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে নিয়মিত সংবাদ পাঠ শুরু করেছেন তিনি। তাসনুভার এই সংবাদ পাঠের খবর ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। বেশ প্রশংসা করা হচ্ছে তাসনুভার এই অগ্রযাত্রাকে। তাসনুভাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি, গার্ডিয়ান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, আল-জাজিরা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ডন, ডেইলি মেইলের মতো জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

বিবিসি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশ’স ফার্স্ট ট্রান্সজেন্ডার নিউজ রিডার মেকস ডেব্যু’। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘বাংলাদেশ’স ফার্স্ট ট্রান্সজেন্ডার নিউজ রিডার টেকস টু দ্য এয়ারওয়েভ।

দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ‘বাংলাদেশ’স ফার্স্ট ট্রান্সজেন্ডার নিউজ অ্যাংকর প্রেইজড ফর পারফেক্ট ডেব্যু’। 

ডেইলি মেইলের শিরোনাম ছিল ‘মোমেন্ট বাংলাদেশ’স ফার্স্ট ট্রান্সজেন্ডার নিউজরিডার ব্রেকস ডাউন আফটার ফিনিশিং হার ফার্স্ট বুলেটিন’। লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যমটি একাধিক ছবিসহ সুবিশাল প্রতিবেদন করেছে তাসনুভা শিশিরকে নিয়ে।

এদিকে পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন বলেছে, সংবাদ পাঠক হিসেবে তাসনুভা শিশিরের অভিষেক ছিল বিশ্বমানের।

রয়টার্স শিরোনাম করেছে, অ্যাংকরওম্যান: বাংলাদেশ’স ফার্স্ট ট্রান্সজেন্ডার নিউজরিডার হোপস টু ফস্টার অ্যাকসেপ্টেন্স। 

উল্লেখ্য, দেশের গণমাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার পরেই আলোচনায় চলে আসে তাসনুভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এই খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই তার চেষ্টা ও শ্রমের প্রশংসা করছেন। কিন্তু তার এই সফলতার পেছনে আছে অনেক কষ্ট আর সামাজিক প্রতিবন্ধকতা।

১৯৯১ সালের ১৬ জুন খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তাসনুভা। জন্মের পরেই আর চার-পাচঁটা ছেলেমেয়ের মতো বেড়ে উঠেনি তার শৈশবকাল। তখন থেকেই মানুষের হাস্য-রসিকতার শিকার হতে হয়েছে তাকে। এ কারণে অনেকটাই বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি।

পড়াশোনা করতে গিয়েও অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরোতে হয়েছে তাসনুভাকে। স্কুলে গেলেই নানা মন্তব্য করতে তাকে নিয়ে। এমনকি তাকে হ্যারেজমেন্টও করা হয়েছে অনেক বার। এ কারণে তার পড়ালেখায় বেশ ক্ষতি হয়েছিল বলা জানান তাসনুভা।

তাসনুভা নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে সমাজকর্ম বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেন। একই সঙ্গে ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে পাবলিক হেলথ বিষয়ে আরও এক বছরের জন্য মাস্টার্স করেন।

তাসনুভা চান অন্য ট্রান্সজেন্ডাররা যোগ্যতা অর্জন করুক। ভালো পেশা বেছে নিক। অন্য ট্রান্সবোনদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তাসনুভা বলেন, তদের সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ; যোগ্য হওয়াটা সবচেয়ে বেশি দরকার। তাই তারা যেন আপনার জেন্ডারটা না দেখে গুণটা দেখেন, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া। সবাই যোগ্যতা দেখেন। কারণ, যোগ্য ব্যক্তিকে কখনো দমিয়ে রাখা যায় না। তাই যার যতটুকু মেধা আছে, জ্ঞান আছে; ততটুকু কাজে লাগিয়ে যোগ্যতা অর্জন করা বেশি জরুরি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪