আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী, প্রতিনিধি বোয়ালমারী (ফরিদপুর) :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার কলারন গ্রামের নাইম কাজী মাদক ব্যবসা করে এখন কোটিপতি। বাড়িতে নির্মাণ করছেন দ্বিতল ভবন। তিনি নিজেকে ঢাকা জজ কোর্টের এক ‘জিআরও-র সহকারী’ বলে এলাকায় পরিচয় দিতেন। ঢাকায় ১৪শ পিস ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর এলাকায় এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধ রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। এই মামলার পরেই এলাকার লোকেরা নাইমের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মাদক ব্যবসাই নাইম কাজীর আয়ের প্রধান উৎস। গ্রামে দুই ইউনিটের একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণাধীন। তার বাবার নাম নজরুল কাজী। তিনি নামেমাত্র একজন ক্ষুদ্র মুদি ব্যবসায়ী। আগে ফেরি করে পন্য বিক্রি করতেন। বাবা নজরুল কাজী জানান, তার ছেলে নাইম ঢাকা জজ কোর্টের জিআরও-র সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্রাপুর সার্কেল অভিযান চালায় নাইমের ভাড়া বাসায়। এ সময় নাইমের পরিহিত প্যান্টের পকেটে ১৪শ পিস ইয়াবা পাওয়ায় নাইমকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, নাইম ঢাকা থেকে নিষিদ্ধ ইয়াবা সংগ্রহ করে নিজ গ্রামে লোকের মাধ্যমে বিক্রি করতেন। এজন্য গ্রামের উঠতি বয়সী তরুণরা সহজেই ইয়াবার মতো ভয়াবহ মাদক হাত বাড়ালেই পেতো।
ঢাকা মেট্রোপলিটন কার্যালয়ের (দক্ষিণ) সূত্রাপুর সার্কেলের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক রাজু আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরে নাইমকে ১৪শ পিস ইয়াবাসহ আটক করি। এ ঘটনায় আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সূত্রাপুর থানায় নাইমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।