কমলকুমার ঘোষ, কলকাতা:
অনুষ্ঠান শুরুর আগেই দখল হয়ে গেল সভাকক্ষের চেয়ার।দাঁড়িয়ে শুনলেন অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা।উপচে পড়া ভিড় তখন ডায়মন্ড হারবার প্রেস ক্লাবে।আন্তর্জাতিক এই আলোচনা সভায় যোগ দিল ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল প্রভৃতি দেশ।
‘ শতাব্দীর মুখ শওকত ওসমান ,বাংলার বিবেক’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ডায়মন্ড হারবার প্রেস ক্লাব ও কুসুমের ফেরা সাহিত্য পত্রিকা।সোমবার ডায়মন্ড হারবার প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলা বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী ভাষণে অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে শওকত ওসমান এক আলোক ধারার সৃষ্টি করেছেন শতবর্ষ পরেও তা দুই বাংলাকে আলোকিত করছে তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির অপার মহিমা।
অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে বিশিষ্ট কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, হুগলি জেলার মানুষ আমি।আমার জেলার সবল সিংহ পুর গ্রামে১৯১৭ সালে দরিদ্র পরিবারের সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।দেশ ভাগের পর তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম কলেজ অফ কমার্সে অধ্যাপনা করেন।উত্তাল একুশের ভাষা আন্দোলনেওতিনি যোগ দেন।আজ এই মহামানবের জন্য বুকটা গর্বে ফুলে উঠে।
প্রধান অতিথির ভাষণে শওকত ওসমান শতবর্ষ কমিটির সদস্য মানিক পন্ডিত বলেন, খানাকুলের সবল সিংহ পুর গ্রামে তাঁর স্মৃতি রক্ষা কমিটি একটি জায়গা কিনেছে যেখানে একটি ডিজিটাল পাঠাগার ও সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে।
‘জননী,’ জাহান্নাম হইতে বিদায়’ উপন্যাসের স্রষ্টা ৭৮টি গ্রন্থের লেখক শেখ আজিজুর রহমান ।ছদ্মনাম নেন শওকত ওসমান নামে তিনি বিখ্যাত হন।কলকাতা থাকাকালীন তিনি যখন প্রভাষক হিসেবে বাহুবাজারের গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্সে পড়াতেন মহানায়ক উত্তম কুমার তাঁর ছাত্র ছিলেন।
কবি ও সাংবাদিক সাকিল আহমেদ বলেন, হুগলির এই কৃতী সন্তান বাংলা ও বাঙালির গর্ব।তাঁর ১০৩ তম জন্মদিনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাই তাঁর ছোট গল্প, উপন্যাস স্কুল ও কলেজ পাঠ্য হোক।সভা ঘর উপচে পড়া জনতার ভিড়ে।
ভারতের বিহার প্রদেশ থেকে বাংলাদেশ এবং নেপাল থেকে কবি সাহিত্যিক ও শিল্পীরা এই আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এক আন্তর্জাতিক মাত্রা সৃষ্টি করে।
কবিতা ও ছড়াপাঠ করেন কবি দীপ মুখোপাধ্যায়,গৌতম মন্ডল,নীপা চক্রবর্তী, রফিক উল ইসলাম, তন্দ্রা ভট্টাচার্য, খায়রুল আনাম, বাংলাদেশের কবি ও সাংবাদিক প্রশান্ত ভৌমিক, নাজমা সুলতানা প্রমুখ।
মাইম পরিবেশন করেন সোনালী সিংহ রায়, বাউল সংগীত পরিবেশন করেন বিবেক সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী জাতিস্বর খ্যাত জিশা নস্কর।শওকত ওসমান নিয়ে ছোট্ট শিশু জিশার বক্তব্য ওনৃত্য পরিবেশন সবাইকে মুগ্ধ করে।