কমলকুমার ঘোষ ৷ কলকাতা প্রতিনিধি
প্রথমে “আম্ফান”-এর দাপটে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি, তারপর করোনা-র প্রকোপ এবং লকডাউনের যাঁতাকলে পড়ে কলকাতার বইপাড়া কলেজ স্টিটের বই-ব্যবসা এখন প্রায় শিকেয় উঠেছে৷ আশা ছিল, এ’বছর “কলকাতা আর্ন্তজাতিক বইমেলা” হলে কিছু বই অন্তত বিক্রি হবে৷ কিন্তু, কোভিড-এর ভয়ে তাও পিছিয়ে গেছে৷ কবে সেই বইমেলা শুরু হবে বা আদৌ হবে কি না, তা আয়োজক সংগঠন “পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড”-এর কর্মকর্তারাও এখনও বলতে পারছেন না৷
ঠিক এই সময়ে আজ থেকে কলকাতায় শুরু হতে চলেছে অন্য এক বইমেলা৷ বইপাড়ার কয়েকজন প্রকাশকের উদ্যোগে গঠিত “বঙ্গীয় প্রকাশক সমন্বয় কমিটি” এর উদ্যোক্তা৷ তাঁরা এই বইমেলার নাম রেখেছেন “বইমেলা ২০২১”৷ “মিলনমেলা” প্রাঙ্গন বা সল্ট লেকে নয়, এই বইমেলা বসতে চলেছে মধ্য কলকাতায় রাজা রামমোহন সরণীর “হৃষিকেশ পার্ক”-এ৷ স্বল্প পরিসরে আয়োজিত এই বইমেলায় থাকবে মোট ৪৫টি স্টল৷ স্বল্পদৈর্ঘ্যের ৫০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টলও বাদ যাবে না৷ মেলার বাইরে থাকবে খাদ্য-বিপণীর আয়োজন৷ মেলা চলবে ২৮ থেকে ৩১শে জানুয়ারি পর্য্যন্ত৷ প্রতিদিন বেলা ২টো থেকে রাত ৮টা৷
গতকাল “বইমেলা ২০২১”-র সূচনা এবং প্রচারটি ছিল ব্যতিক্রমী৷ এদিন একটি ট্রামকে মেলার ব্যানার, ফেস্টুন ও বেলুন দিয়ে সাজানো হয়৷ এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলার টায়ার পার্ক থেকে এই ট্যাবলোটি যায় কলেজ স্টিটের বইপাড়া পর্য্যন্ত৷ এই ট্রামযাত্রায় গাড়ির মধ্যেই আয়োজিত হয় বইয়ের আড্ডা, নাচ, গান ইত্যাদি৷ প্রচার সূচনায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম মন্ত্রী তাপস রায়, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথি৷ “বঙ্গীয় প্রকাশক সমন্বয় কমিটি”-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ’বছরই শুরু ও শেষ নয়, এরপর থেকে প্রতি বছরই এই নাতিদীর্ঘ বইমেলাটি উৎসাহী বইপ্রেমীদের জন্য চালু থাকবে৷