জহিরুল ইসলাম টুকু, উজিরপুর:
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের ৫১নং নরসিংহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দখলিয় ও নাম জারিকৃত জমির উপর বাড়ি নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনগনের অভিযোগ, সীমানা দেয়াল না থাকায় বিদ্যালয়ের উত্তর পার্শে¦ স্থানীয় চুন্নু ফকির বাড়ি নির্মান করে বিদ্যালয়ের জমি দখল করার পাঁয়তারা করছে। অভিযুক্তদের দাবি, উক্ত জমি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হওয়ায় তারা বাড়ি নির্মান করছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারনের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের প্রকৃত জমির পরিমান মাপার জন্য আমরা উপজেলা ভূমি অফিসার বরাবর আবেদন করবো।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, ‘উপজেলা ভূমি অফিসারের সহযোগিতায় জমি মেপে বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারন করা হবে। বিদ্যালয়ের প্রকৃত জমি নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বাড়ি নির্মানের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।’
বড়াকোঠা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং নরসিংহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান কালা মিয়া বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ের মোট জমি ৫২ শতাংশ, অত্র গ্রামের আব্বাস ফকির ও বছির উদ্দিন হাওলাদার প্রত্যেকে ২৬ শতাংশ করে দান করেন। বিদ্যালয়ের কাঠের ঘরটি দীর্ঘদিন পুরাতন ভবনের পিছনের জায়গায় ছিল যা অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও এলাকার মুরব্বী প্রত্যেকেই জানেন।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক একজন ছাত্র বলেন, ‘বিদ্য্যালয়ের পুরাতন ভবনের পিছনের ঐ জায়গার উপরেই চুন্নু ফকির বিল্ডিং নির্মানের উদ্দেশ্যে লেবার দিয়ে মাটি খুড়ছেন।’
উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত অত্র বিদ্যালয়ের ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের রিটার্ন থেকে জানা যায়, বিদ্যালয়ের মোট দখলিয় জমি ৫০ শতাংশ, যা নামজারি করা রয়েছে।
চুন্নু ফকিরের চাচাত ভাই বিপ্লব ফকির বলেন, ‘বিদ্যালয়ের রেকর্ডিয় জমির পরিমান ২৪ শতাংশ। এর বাহিরে বিদ্যালয়ের কোন রেকর্ডিয় জমি নাই এবং চুন্নু ফকির বিদ্যালয়ের জমির উপর নয় বরং তার পৈত্রিক ভিটায় বাড়ি নির্মান করছেন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহব্বত আলী খান বলেন, ‘কোন এক সময় অত্র বিদ্যালয়ের সীমানা পিলার ছিল। কালক্রমে সীমানা পিলারগুলো নষ্ট হয়ে হারিয়ে গেছে। ফলে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভূমি অফিসের সহযোগিতায় এবার সীমানা নির্ধারিত হলে স্থায়ী সীমানা দেয়াল করা হবে এবং ভবিষ্যতে আর এধরনের সমস্যা থাকবে না বলে আশা করি।’