ক্লাস নেন এক বিদ্যালয়ে; কিন্তু বেতন নেন দুই বিদ্যালয় থেকে। এভাবেই মাসের পর মাস বেতন তুলছিলেন। তবে বিষয়টি অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলে দোষ স্বীকার করে টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানান অভিযুক্ত শিক্ষক।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. শাহীন মিয়া। তার বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে। শাহীন মিয়া একসঙ্গেই দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। শ্রীপুর উপজেলার শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দুই বছর ধরে। নিয়মিত তুলছেন বেতন-ভাতাও।
পার্শ্ববর্তী তেলিহাটির আলহাজ মোসলেউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়েও আইসিটি শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন। তবে সেখানে উপস্থিত না থেকেও মাসের পর মাস নিচ্ছেন বেতন। আর এজন্য হাজিরা খাতায় তৈরি করেছেন ভুয়া উপস্থিতিও।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুই স্কুলের শিক্ষক হিসেবেই বেতন তুলছেন দিব্যি। মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটেও এ জালিয়াতির প্রমাণ মেলে। যেখানে দুটি প্রতিষ্ঠানেই শাহীন মিয়ার নাম, জন্ম তারিখ, ব্যাংক হিসাব নম্বর এমনকি পৃথক ইনডেক্স নম্বর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, ইদানীং শাহীন মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে, আমিও শুনেছি। তবে তিনি আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিদিনই ক্লাস নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহীন মিয়া নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, অনিয়ম করে তোলা সব টাকা ফেরত দেব।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, একজন শিক্ষক কখনোই দুটি বিদ্যালয়ে একসঙ্গে চাকরি করতে পারবেন না। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত-প্রতিবেদন হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতি মাসে শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৮ হাজার ১৭৭ টাকা ও আলহাজ মোসলেউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬ হাজার ৬২০ টাকা তুলছেন শাহীন মিয়া।