এঞ্জিওপ্ল্যাস্টির পরে, আজ সন্ধ্যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বুকে একটি “স্টেন্ট” বসানো হল ৷ এটি কাজ না করলে, পরে আরও ২/৩টি বসাতে হতে পারে ৷ তবে, চিকিৎসকদের ধারণা, সম্ভবত তার প্রয়োজন হবে না ৷ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সৌরভকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে ৷
এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল৷ সন্ধ্যায় তিনি চা, বিস্কুটও খেয়েছেন ৷ এমনকি, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাননীয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উডল্যান্ডস হাসপাতালে দেখা করতে গেলে, উল্টে সৌরভই তাঁদের কুশল জিজ্ঞাসা করেন ৷ তিনি স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, মেয়ে সানা, দাদা স্নেহাশিস ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গেও কথা বলেন ৷
আজ সকালে নিজ বাসগৃহে প্রাত্যহিক শরীরচর্চা করার সময়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার, ভারতের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ও বিসিসিআই-এর বর্তমান সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান৷ তাঁর বুকে ব্যাথা শুরু হয়৷ প্রবল শ্বাসকষ্ট হতে থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কলকাতার অভিজাত হাসপাতাল উডল্যান্ডস-এ ভর্তি করা হয়৷ চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, তিনি “মায়ো কার্ডিয়াক ইনফ্র্যাকশন” বা মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ তারপরই তাঁর এঞ্জিওপ্ল্যাস্টি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয় ৷
সৌরভের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে যায় ৷ তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতারা সৌরভের শারীরিক খোঁজখবর নিতে থাকেন৷ দিল্লি থেকে ভারতের স্বরাসট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি হাসপাতালে ফোন করেন৷ দিল্লি থেকে একদল প্রতিনিধি চলে আসেন কলকাতায় ৷
আসলে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ৷ বিশেষত, বিজেপি চাইছে সৌরভ তাদের দলে যোগ দিন৷ তবে, বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই অসুস্থতার পরে সৌরভ সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে পারবেন কি না, সন্দেহ৷