শরিফা বেগম শিউলী
রংপুর প্রতিনিধি
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ ডাকাতির বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান চালিয়ে আসছে।এরই ধারাবারিকতায়, র্যাব-১৩, রংপুর ২০২০ সাথে মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং আসামী গ্রেফতার করে।
অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পরিসংখ্যান। র্যাব-১৩, রংপুর ২০২০ সালে ০২টি বিদেশী পিস্তল, ০৪টি ওয়ান শুটার গান, ০৭ রাউন্ড গুলি ছাড়াও ৪৪৩৪৩ পিস ইয়াবা, ১৭৮০২ বোতল ফেন্সিডিল, ১৩২২.৩১৪ কেজি গাঁজা, ৪৪ গ্রাম হেরোইন, ৩১৬ লিটার দেশী মদ, ১৯ বোতল বিদেশী মদ, ০৩ ক্যান বিয়ার, ১১৪১ পিস নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ৪১৭১ পিস নেশা জাতীয় ট্যাবলেট উদ্ধার করে।গ্রেফতারের পরিসংখ্যানে। র্যাব-১৩, রংপুর কর্তৃক ২০২০ সালে ২৫ জন জঙ্গি, ০৩ জন অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ৫১৭ জন মাদক ব্যবসায়ী, ৭২ জন এজাহার/ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী, ১০ জন প্রতারক, ০৫ জন অপহরণকারী, ০১ জন চাঞ্চল্যকর হত্যাকারী, ০৩ জন ধর্ষণকারী, ০৫ জন সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর উপর হামলাকারী এবং ১৬ জন অন্যান্য অপরাধী গ্রেফতার করেন। মোবইল কোর্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি। ১৯২টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৭৭,৬২,২৩৫/- (সাতাত্তর লক্ষ বাষট্টি হাজার দুইশত পঁয়ত্রিশ) টাকা জমিরমানা প্রদান করেন।
করোনাকালীন সময়ে জনসেবামূলক সাফল্য। করোনাকালীন সময়ে র্যাব-১৩ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় র্যাব-১৩ এর নিজস্ব অর্থায়নে ১০,০০০ কেজি চাউল, ১,০০০ কেজি ডাল, ১,০০০ কেজি তৈল, ৫,০০০ কেজি আলু, ১,০০০ কেজি পিয়াজ, ৫০০ কেজি রসুন, ১০০ কেজি মরিচ, ২৫০ কেজি আদা, ১০০ কেজি হলুদ, ১,০০০ কেজি লবন, ১,০০০টি সাবান ত্রাণ সামগ্রী দুস্থ মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
করোনাকালীন সময়ে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। করোনাকালীন সময়ে র্যাব-১৩ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় র্যাব-১৩ এর নিজস্ব অর্থায়নে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে
জনসাধারণের মাঝে ১০,০০০টি মাস্ক, ৫,০০০টি গ্লাভস এবং ১৫০০টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী সংগঠনের দেয়া ত্রাণ সামগ্রী জনগনের মধ্যে সঠিকভাবে বিতরণে র্যাব-১৩ নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার স্থাপন করা ও করোনার ভয়াবহতা সম্বলিত প্লেকার্ড জনগনের মাঝে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও, অতিরিক্ত টহল প্রদানের মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে লকডাউন এবং জনসাধারণের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা হয়।