যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতুতে আরও দেড় বছর সময় লাগলেও সেটাকে এক বছরে কমিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ২ শিফটে কাজ চলছে সেখানে। জনবল বাড়িয়ে সেটাকে ৩ শিফটে করা হলে কাজ দ্রুত শেষ করা যাবে বলে মনে করছে তারা। পদ্মা সেতুর পাইল ও স্প্যান বানানোর ইয়ার্ডে গত ৪ বছর ধরে চলেছে ব্যস্ততা। হাজার হাজার কর্মী দিন রাত কাজ করেছে সেখানে। এখন একই অবস্থা চলছে স্ল্যাব বানানোর ইয়ার্ডে। স্প্যানের উপর ও নিচের অংশে বসানোর জন্য প্রায় ৩ হাজার করে স্ল্যাব বানাতে হচ্ছে ইয়ার্ডে।
শুরুর দিনগুলোতে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ করেছে ৪ হাজার ২শ দেশীয় শ্রমিক ও ৯৮০ জন চীনা নাগরিক। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর কিছুটা হোঁচট খায় কাজ। নববর্ষ উদযাপন করতে দেশে গিয়ে ফিরতে পারেন নি ৪শ চীনা নাগরিক। প্রকল্প এলাকা ছেড়ে যায় ২ হাজার ২শ দেশীয় শ্রমিক। ফলে প্রত্যাশার তুলনায় ধীর হয়ে আসে প্রকল্পের বিভিন্ন অংশের কাজ।
এ অবস্থায় নতুন করে শুরু হয়েছে জনবল সংগ্রহ। বর্তমানে প্রকল্পে কর্মরত আছেন ৩ হাজার বাংলাদেশি ও ৭শ চীনের নাগরিক। চলতি মাসের শেষের দিকে নতুন করে যোগ দেবে একটি দল। আগামী বছরের শুরুতে আরও একটি দল যোগ দিলে কাজে গতি পাওয়ার প্রত্যাশা সেতু মন্ত্রণালয়ের।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘দুটা টিম এখন কাজ করছে। আরেকটি টিম এই মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ আগামী জানুয়ারীর মধ্যে যুক্ত হবে। এবং চতুর্থ টিম আমরা আশা করছি আগামি বছরের জানুয়ারির মধ্যে যুক্ত হবে।’
সেতুতে রোড ও রেল স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ করতে সময় লাগতে পারে আরও দেড়বছর। জনবল বাড়ানো হলে সে কাজ এক বছরে শেষের ব্যাপারে আশাবাদী সেতু কর্তৃপক্ষ।