বিরল, (দিনাজপুর) ১৫ ডিসেম্বর;
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, বিরল শহরের উপকণ্ঠে আউটডোর-ইনডোর ব্যবস্থাসহ একটি ষ্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। যেখানে মহিলা খেলোয়াড়রা ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস এবং বাস্কেটবলসহ ইনডোর খেলাগুলো করতে পারবে। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে একটা অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে ।
বাংলাদেশে খেলাধুলা শিল্প সাহিত্য চর্চা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা এখন স্কুল লেভেলেও ধারাবাহিক খেলাধুলা কার্যক্রম শুরু করেছেন। নিয়মিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযেগিতা হয়, বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়ামে আর্ন্তজার্তিক টুর্ণামেন্টগুলো হচ্ছে। জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলা হচ্ছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এহজন ক্রীড়ানুরাগী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে একজন খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তাঁর পরিবার ক্রীড়ানুরাগী; সে হিসেবে আমরা ভাগ্যবান জাতি।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিরল পাইলট মডেল উ”” বিদ্যালয় মাঠে বিরল মৌসুমী ক্রীড়া চক্রের উদ্যোগে দু’মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও বিরল মৌসুমী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক এর সভাপতিত্বে বিরল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, বিরল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার জাবের মোঃ সোয়াইব, বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসিম হাবিব, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিরল পৌর মেয়র আলহাজ¦ সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, মৌসুমী ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রাজু প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় ছিলনা। ফুটবল খেলে জীবিকা নির্বাহ করা, পারিবারিক জীবনটাকে সুন্দর করা যায়- এ চিন্তা আগে ফুটবলাররা করেনি। কারণ তখন পৃষ্ঠপোষকতা ছিলনা। এখন বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ ফুটবলসহ অন্য খেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে। অনেক পেশাদার ফুটবলার তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ফুটবল ক্যাম্পে খেলা অব্যাহত রাখতে হবে। নিয়মিত ম্যাচ খেলতে হবে। ম্যাচ না খেলতে পারলে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাল খেলোয়াড় হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ ও ভাল পৃষ্ঠপোষকাতা পেলে আমাদের বিরলেও ভাল খেলোয়াড় তৈরি হতে পারে। এই চিন্তা চেতনায় আজকের এই ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী দিনাজপুর জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের চলমান ও বাস্তবায়িত প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দিনাজপুর জেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে মনোরঞ্জনশীল গোপাল এমপি, অ্যাডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুম এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।