পঞ্চাশের দশকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়েছিল।৬০ এর দশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রয়াত জননেতা ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান করেছিলেন।পাকিস্তানি দুরশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কালের পরিক্রমায় ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ’ বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন হিসেবে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ও মানবতার সেবায় অবদান রেখে চলছে ।বিগত বিএনপি জোট সরকারের অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিপীড়ন নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবকলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

১৬ নভেম্বর ২০১৯ বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেছে সংগঠনটি সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করতে।তারই ধারাবাহিকতায় ৪ ডিসেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুতর অসুস্থ সাবেক সহ সাহিত্য সম্পাদক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন রিজভীকে দেখতে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে যান এবং দলের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা তার চিকিৎসার জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দলের কর্মযাত্রা শুরু করে।
এরপর পরপরই শীতবস্ত্র বিতরণ করার লক্ষে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে শুরু করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাতের বেলায় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারন সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের নিয়ে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করে।এরপর উত্তরবঙ্গের শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করার জন্য সেখানে ছুটে যায় দলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।নীলফামারীতে তিনটা প্রোগ্রাম করে, রংপুরের দুইটা এর পরের দিন গাইবান্ধায় কম্বল বিতরণ করে সেখান থেকে বগুড়ায় কম্বল বিতরন করে শীতার্থদের মাঝে।বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ এসে রাত একটায় এলেঙ্গায় শীতবস্ত্র বিতরণ করে ।

এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুতি চলে ,১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনের পর থেকেই করোনা পরিস্থিতি শুরু হয় ,তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করে ।

প্রথমে মানুষদের সচেতন করার লক্ষে ভার্চুয়াল লিফলেট বিতরণ করা শুরু করে দলটি, তারপর কেন্দ্রীয়ভাবে সচেতনতামূলক কিছু বক্তব্য রেকর্ড করে সারা বাংলাদেশে প্রতিটি জেলায় পেনড্রাইভের সাহায্যে এমপ্লিফায়ার এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রচার শুরু করে।স্বাস্থ্য সচেতনমূলক একটা ভিডিও রেকর্ডিং করে, নেতাকর্মীদের দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্রচার করে থাকে।
এই করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা মোতাবেক দলটি কাজ শুরু করে দেয়। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিন এর উদ্যোগে ঢাকা শহরের অনেক জায়গায় হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরন,সচেতনতা
মুলক কার্যক্রম চলতে থাকে।কেন্দ্রের নির্দেশমত ইউনিয়ন ,উপজেলা ,জেলার নেতৃবৃন্দরা ঝাঁপিয়ে পড়ে করোনা মোকাবেলায়।
এপ্রিল,মে মাস ব্যাপী চলতে থাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দেশব্যাপি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন,মাস্ক,খাদ্য সহায়তা,টেলি হেলথ সার্ভিস,কল সেন্টার ০৯৬১১৯৯৯৭৭৭ এর মাধ্যমে ঘরবন্ধী অসুস্থ মানুষদেরকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাহায্যে সার্বক্ষনিক বিনামূল্যে পরামর্শ প্রদান করে থাকে।বিভিন্ন জেলায় টিম গঠন করে অসহায় করোনা রোগীর লাশ গোসল,জানাজা,দাফন,সৎকার করে।করোনা রুগী ও অসহায় জটিল রুগী বহনের জন্য সার্বোক্ষনিক একটা লাশের গাড়িসহ ১০ টা এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু রাখা হয় বিনামূল্য এবং উপরোক্ত সকল কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।

এসবের পাশাপাশি দলটি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চালু করে রেখেছে ,রোজার সময় প্রতিদিন কোথাও-না-কোথাও গরিব মানুষদের ভিতর ইফতার সামগ্রী বিতরণ,ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে নতুন কাপড় বিতরণ তাদের মা-বাবাদের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেছে।
এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সারা দেশে ঈদ উপহার বিতরণ করে থাকে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রের একটা টিম সাতক্ষীরায় গিয়ে ৫০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে।এর মাঝেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে ধান কাটা কর্মসূচি অংশগ্রহণ শুরু করে দলের নেতাকর্মীরা ,বাংলাদেশে সর্বপ্রথম স্বেচ্ছাসেবক লীগ ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে,দলের সভাপতি বাবু নির্মল রন্জন গুহ ও সাধারন সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু’র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় অনেক নেতৃবৃন্দসহ মুন্সীগঞ্জ এর আড়িয়াল বিলে গিয়ে ধানকাটা কর্মসূচী শুরু করে ।কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যক্রম দেখে সারাদেশের নেতাকর্মীরা ধানকাটা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে ।
সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় ধান কেটে কৃষকের ঘরে সেই ধান পৌঁছে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।করোনা রোগীর, ঋণগ্রস্থ কৃষকের ,সাধারন কৃষকের ধান ও কেটে দিয়েছে দলটির নেতা কর্মীরা।

এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ শুরু করে,সারাদেশের নেতাকর্মীরা এতে ব্যাপক সাড়া দেয় ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রায় ৫ লক্ষাধিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যা ইতিমধ্যেই শেষ করেছে।এরই মধ্যে মরার উপর খাড়ার ঘা এর মতো বন্যার আগ্রাসন শুরু হয় সারা বাংলাদেশে, প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেন পিছু ছাড়ছেনা বাংলাদেশের থেকে।সেবার অতন্দ্র প্রহরী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও প্রস্তুত ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য।গত ২৩ জুলাই বানভাসী মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটাতে বর্তমান দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে দোহারে গিয়েছিলো, সেখানে বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে।দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পরপর গাজীপুরে গিয়ে কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সহায়তা,শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন,বৃক্ষবিতরন করে।এর একদিন পরে মানিকগন্জের হরিরামপুর উপজেলার ধুলাসুরা,আজিমনগর ও সুতালরি এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে একটি টিম ৫ আগষ্ট ছুটে যায় সূদুর উত্তরবঙ্গে।তারা লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার খুনিয়াগাছ,কালমাটি সরকারী প্রাইমার স্কুলের সামনে বন্যাদূর্গত মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষথেকে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করে।পরেরদিন ৬ আগষ্ট কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার শীতাইঝাড়,গাইবান্ধা শহর রক্ষার বাধ,ফুলছড়ি,গোবিন্দগন্জে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষথেকে বন্যার্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করে।গাইবান্ধার সুন্দরগন্জ উপজেলায় শিক্ষা উপকরন বিতরন ও বৃক্ষরোপন করে ।

এরপর ৯ আগষ্ট জামালপুরের সানাকৈর,সরিষাবাড়ি,হামিদপুর বালুর মাঠ,ইসলামপুরের মলমগন্জ,দেওয়ানগন্জের আব্দুল খালেক মেমোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষথেকে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরন করে ।
ত্রানসামগ্রী কার্যক্রমের মাঝেও দলীয় সকল কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে এই দলের নেতাকর্মীরা।
২১ আগষ্ট বোমা হামলার নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শহীদ কুদ্দুস পাটোয়ারীর গ্রামের বাড়ীতে ছুটে যান তার পরিবারের সাথে দেখা করতে।সেখানেও অসহায়,দরিদ্রের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।
করোনা মোকাবেলায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রান ও দূর্যোগ উপ-কমিটির চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করে এবং ময়মনসিংহের বিভিন্ন জায়গায় ও খাদ্যসামগ্রী বিতরন ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করে।
এরপর ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের কুন্ডা,ক্ষতিয়া,পাতিলঝাপ,শল্যা ইউনিয়নে কালিগঙ্গা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মাঝে কেন্দ্রীয় নেতারা খাদ্যসামগ্রী বিতরন করে।
এরপর সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহোৎসব শারদীয় দূর্গোৎসবে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশে মন্দিরে মন্দিরে স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরন করে ।
পুরা বছরটিই প্রকৃতি ছিলো প্রতিকুলে,এর মাঝেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যপারে দলটি একটুও কার্পন্য করে নাই ,দলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে দুজনই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন,সুস্থ হয়েই তারা আবার তাৎক্ষনিকভাবে করোনা মোকাবেলায় সকল কার্যক্রম শুরু করে দেয়।এসবের মাঝেও দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রেখে নিরলস ভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে,শহীদ ডাক্তার মিলন দিবস পালন ,শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন ,খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি কে কেন্দ্র করে বিএনপি জামাতের নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সতর্ক অবস্থান ,বুদ্ধিজীবী দিবস পালন ,মহান বিজয় দিবস পালন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ।অমর একুশে বইমেলায় নিজস্ব স্টলে এর মাধ্যমে মাসব্যাপী কার্যক্রম ,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্টল পরিদর্শন করেন ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার জন্মদিন পালন ,একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন , মুজিববর্ষে সূচনালগ্নে জাতির পিতার প্রতিকৃতি শ্রদ্ধানিবেদন ও রাতের আকাশে ফানুষ উড়ানো, গাইবান্ধা ,বগুড়া ,ঢাকা -১০ আসনের উপনির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন ,ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস পালন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারামুক্তি দিবস পালন, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় আনন্দ মিছিল, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন পালন ,মহিয়সী নারী ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন পালন ,সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে মানববন্ধন ,আইভি রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ,কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ,বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার জন্মদিন পালন ,পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ,

নবগঠিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় শপথগ্রহণ ,সিরাজগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ ,শহীদ নূর হোসেন দিবস পালন সর্বশেষ ১২ নভেম্বর বিএনপি জামাতের ঢাকা শহরে নাশকতার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ।
গত ১০জুলাই ২০২০ মহান জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকট মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী্ প্রশংসা করে ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ড বক্তব্য রাখেন।

দলের নেতাকর্মীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

গত একবছরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যক্রম ও পরবর্তী করনীয় নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বাবু নির্মল রন্জন গুহ বলেন-
বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বেচ্ছাসেবক লীগ দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারদর্শী দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ-এর প্রতিটি নেতাকর্মী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পাশে থাকবে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে, যথার্থ ভ্যানগার্ডের ন্যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ জ্ঞাননির্ভর- মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের অনেক দেশের জন্য রোলমডেল, আর তা সবই সম্ভব হয়েছে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কল্যানে। দেশরত্নের ঘোষিত ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাবে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
এব্যাপারে দলের সাধারন সম্পাদক এ,কে এম আফজালুর রহমান বাবু বলেন-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারদর্শী দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন বিপর্যস্ত ছিল বাংলাদেশ তখন বিভিন্ন উপযু্ক্ত প্রণোদনা প্যাকেজ ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে মন্দা মোকাবেলায় সক্ষমই শুধু হয়নি, জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬ শতাংশের বেশি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা, বাংলাদেশকে একটি আধুনিক,
অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আসুন দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।