দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ৭৩৩টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) রয়েছে। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে স্থাপন করা হয়েছে ২৩৫টি আইসিইউ। আজ বুধবার হাইকোর্টে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে আইসিইউ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যদি আইসিইউ সাপোর্ট অপর্যাপ্ত হয় তাহলে তারা কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন। কন্ট্রোল রুম হতে নিকটস্থ যে হাসপাতালে আইসিইউ সহজ প্রাপ্য রয়েছে সেখানে রোগীকে প্রেরণের জন্য পরামর্শ প্রদান এবং একইসঙ্গে আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে পরামর্শ প্রদান করা হয়। এভাবে কেন্দ্রীয় ভাবে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক আইসিইউ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পাদিত হচ্ছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নের্তৃত্বাধীন একক ভার্চুয়াল বেঞ্চে এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত বলেন, যদি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করা হয় তাহলে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে রোগী নিয়ে দৌড়ঝাঁপ হচ্ছে কেন?
এদিকে এই আদালতে বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে আরো দুটি রিট আবেদন কার্যতালিকায় রয়েছে। এ কারণে আগামী ১৪ জুন আইসিইউ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার এবং রিটকারী পক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান।
বেসরকারি হাসপাতালের সকল আইসিইউ অধিগ্রহণ এবং কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এরপরই হাইকোর্ট গত সোমবার দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কতগুলো আইসিইউ আছে, সেগুলো কীভাবে বন্টন হয় তার তথ্য জানতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
অমিত তালুকদার বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে শুধু মাত্র কোভিড সার্ভিসের জন্য ১৭টি হাসপাতালে ২৩৫টি আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে মোট আইসিইউর সংখ্যা ৭৩৩টি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে আইসিইউ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কার্যক্রম ইতেমধ্যে চালু রয়েছে।