1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন

কালীগঞ্জে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবার নবজাতকের মৃত্যু!

  • সময় : শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪৯০

একাধীক ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত গাজীপুরের কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালে এবার এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ওই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ওই নিহত নবজাতকের বাবা এনামুল কবির কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমনটিই অভিযোগ করেন।

ভূক্তভোগী প্রসূতি আফসানা আক্তার (৩০) বক্তারপুর ইউনিয়নের বেরুয়া গ্রামের এনামুল কবিরের স্ত্রী।

এনামুল কবির সাংবাদিকদের জানান, তার স্ত্রী আফসানা আক্তারের সন্তান প্রসবের নির্ধারিত তারিখ ছিল ৫ নভেম্বর। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ করে অসুস্থতা অনুভব করলে কালীগঞ্জের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর অবস্থা খারাপ থাকলেও হাসাপতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে রোগীকে বসিয়ে রাখা হয়। ডাক্তার আসে আসে বলে বিকেল ৪টার দিকে তার স্ত্রীকে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর নবজাতকের হার্ডবিট ছিল। কিন্তু জন্মের কয়েক মিনিটের মধ্যে তার শিশু সন্তান মারা যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবহেলা না করে সঠিক সময়ে তার স্ত্রীর অপরেশন করলে শিশুকে বাঁচানো সম্ভব ছিল বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, এর আগে গত মাসে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। এছাড়াও গত বছর এই হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় একজন শিশু ও একজন মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতো ঘটনার পরও কেন হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা । তাদের খুঁটিরই বা জোড় কোথা এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।

কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন মিরাজ বলেন, প্রসূতি আফসানা আক্তার মৃত্যু সন্তান প্রসব করেছে। উল্টো তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন কে বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেরায় নবজাতক মারা গেছে? অপরারেশন তো ডাক্তার করে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নয়।

গাইনি চিকিৎসক সানজিদা পারভিন বলেন, রোগী ব্যাথা নিয়ে হাসাপাতালে আসলেও তখন তার অতিরিক্ত প্রেসার ও ডায়াবেটিস ছিল। রোগীকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছে বাচ্চা পায়খানা করে দিয়েছ, বাচ্চার অবস্থাও খারাপ ছিল। বাচ্চার অভিভাবকদের জানানো হয়েছে। কি করবো? বাচ্চাতো বের করতে হবে। শেষে অপারেশনের পর বাচ্চা আর কান্না করেনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আকন্দ বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪