যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশের নির্যাতনে কলেজছাত্র ইমরান হোসেনের অবস্থা সংকটাপন্নের ঘটনায় তিন সদস্যের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল গোলাম রব্বানীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা পুলিশ প্রশাসনের মুখোপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম। ইমরান হোসেনের মা বুলবুলি বেগম জানান, তার ছেলের অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো।
মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা হসপিটালে এসে তার ছেলের সাথে কথা বলেছেন। নির্যাতনের বিষয়ে তারা তার ছেলের বক্তব্য শুনেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তে কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। যার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) গোলাম রব্বানী। কমিটির অপর দু সদস্য হচ্ছেন-কোতয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআই-ওয়ান ইনসপেক্টর মশিয়ুর রহমান। এই কমিটিকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআই-ওয়ান ইনসপেক্টর মশিয়ুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছে, তারা ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার বিকেলে হসপিটালে গিয়েছিলেন। ওই যুবকের সাথে কথা বলেছেন।
এ ঘটনায় কোন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়নি। তদন্ত চলছে। সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুন্সী আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার রাতে কোতয়ালি থানার ওসি সরেজমিনে এসে ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছেন। উল্লেখ্য, সদর উপজেলার শাহাবাজপুর গ্রামের নিকার আলীর ছেলে কলেজছাত্র ইমরান হোসেনকে গত ৩ জুন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ধাওয়া করে নিয়ে স্থানীয় সাজিয়ালী ক্যাম্পের পুলিশ নির্যাতন করে। এএসআই সুমারেশ সাহা ও এএসআই সাজদার রহমানসহ ৬ পুলিশ সদস্য তাকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। নির্যাতনে তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।