যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘করোনা মোকাবিলায় শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্ব বিশ্বে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং তা নিজ নিজ দেশে অনুসরণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম সেরা মানবিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। আর তাই প্রধানমন্ত্রীর এসব মানবিক কর্মকাণ্ডকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে এ বছর থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় আয়োজিত ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির চেক এবং স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমূহের মাঝে এককালীন অনুদান বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের ফলে দ্রুততম সময়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণ এবং সংক্রমণ ও প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস, বন্যা মোকাবিলায় রোল মডেল হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এক উজ্জ্বল নাম। বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়াসে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নামে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ প্রদান করা হবে এবং আগামী বছর হতে এ যুব পুরস্কার প্রদান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব যুবক কোভিড ১৯ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে দেশে এবং বিদেশে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাদেরকে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর জেলার ৮৫ জন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে জনপ্রতি ৫০,০০০টাকা করে মোট ৪২,৫০,০০০ টাকার চেক বিতরণ করেন এবং ৮০ টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাঝে মোট ২৩,৬০,০০০ টাকার অনুদান বিতরণ করেন।