1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন

রংপুরে অর্ধ কোটি টাকার উপর এলজিইডি’র আর্থিক ক্ষতি

  • সময় : শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৬৪

অতি বর্ষণ ও উজানের ঢলে সৃষ্ট ৪ দফা বন্যায় রংপুর জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্মিত ১৫টি ব্রীজ ও ৮টি পাকা রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ৬৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এদিকে এলজিইডি’র নির্মিত গঙ্গাচড়ার মহীপুর হয়ে রংপুর-লালমনিরহাট ব্যস্ততম সড়কের দু’টি ব্রীজের সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।

এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ীভাবে চলাচলের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকৌশলীরা।

রংপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার ২ উপজেলার রাস্তা ও ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মোট ১৪টি ব্রীজের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩৭৯ দশমিক ৯০ মিটার; আর ৭টি পাকা রাস্তার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৫৯ দশমিক ৭২ কিলোমিটার। এগুলোর আর্থিক মূল্য হচ্ছে মোট ৬৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বীজের সংখ্যা হচ্ছে ১১টি। যার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩৫৪ দশমিক ২০ মিটার। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংখ্যা হচ্ছে ২টি। যার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩৭ কিলোমিটার। দমদমা ব্রীজ থেকে নাগরকোঠা পায়রাবন্দ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩০ কিলোমিটার।আর বালারহাট ইউপি অফিস থেকে বৈরাতি পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৭ কিলোমিটার। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজ এবং সড়কের আর্থিক মূল্য হচ্ছে ৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের সংখ্যা হচ্ছে ৩টি, যার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ২৫ দশমিক ৭০ মিটার। আর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংখ্যা হচ্ছে ৫টি; যার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ২২ দশমিক ৫২ কিলোমিটার। বুড়িরহাট গ্রোথ সেন্টার থেকে কাকিনা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার এবং ১১ দশমিক ৫২ কিলোমিটারের মধ্যে আছে রংপুর-লালমনিরহাট ব্যস্ততম সড়কের দু’টি ব্রীজ (ইচলি বাজার এবং সিরাজুল মার্কেট সংলগ্ন ব্রীজের সংযোগ সড়ক)। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজ এবং সড়কের আর্থিক মূল্য হচ্ছে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

রংপুর এলজিইডি’র সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী মো. কাওছার আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ব্রীজ অস্থায়ী ভিত্তিতে চলাচলের জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলার ২টি ব্রীজের সংযোগ সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ১ হাজার ৯৩০টি প্লাস্টিক ব্যাগ এবং ২শ’ জিও ব্যাগ দিয়ে ভরাট করা হয়েছে।

এছাড়া মিঠাপুকুর উপজেলার কালুরঘাট নামক স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত এপ্রোচ সড়কটি মেরামতের জন্য ১ হাজার ২শ’ জিও ব্যাগ পাঠানো হয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হাদী জানান, গত ১২ জুলাই তিস্তা নদীর প্রবল স্রােতে ৩টি ব্রীজের সংযোগ সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবশ্য ক্ষতিগ্রস্ত সংযোগ সড়কের মধ্যে একটির অবস্থান লালমনিরহাট জেলায়।

এতে ২ ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তবে রংপুর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বস্তা ফেলায় কিছুটা চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে। তবে তিনি দাবি করেন, শংকরদহ থেকে বিনবিনিয়া পর্যন্ত ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে কখনোই রাস্তা টেকসই হবে না, শুধু টাকার অপচয় হবে।

এলজিইডি, রংপুর-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক বলেন, অতি বর্ষণ ও বন্যায় জেলার ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো, রাস্তা ও ব্রীজের ক্ষয়ক্ষতি এবং সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছি। ইতোমধ্যে ওই তালিকাটি অবগত করাসহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন

এলজিইিডি’র প্রধান প্রকৌশলীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা এবং ব্রীজের স্থায়ী সংস্কার কাজ শুরু হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪