আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আবারও সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী শীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমন বাড়তে পারে। তাই এখন থেকেই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্যোগে নির্মিত ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন শীতে সংক্রমণ বাড়তে পারে। এ প্রেক্ষাপটে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও শীতের সময়ে সংক্রমণ বাড়ার আশংকা করছেন। এই সংক্রমণ রোধে সতর্কতা ও সচেতনতাই হবে কার্যকর হাতিয়ার।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন নতুন সংকট শুরু হয়, সমাধানের জন্যও পথ খোঁজা হয়। এই মহামারিতে মেট্রোরেলের সাথে সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাসপাতাল নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রকল্পে অধিকাংশ জাপান ও থাইল্যান্ডের প্রকৌশলী পরামর্শকরাই কাজ করছেন। যারা প্রকল্পে কাজ করছেন, তাদের মনে সাহস বাড়বে। কাজের গতিও বাড়বে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্টদের করোনা শনাক্ত হলে কিংবা উপসর্গ থাকলে প্রকল্প এলাকায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।
পাশাপাশি করোনাকালে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রকল্প এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা দীর্ঘায়িত হতে পারে এমন বিবেচনায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কর্মীদের জন্য দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করেছে। উত্তরার পঞ্চবটী কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১৪ শয্যাবিশিষ্ট এবং গাবতলীর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। আইসিইউ সুবিধাসহ সব সুবিধাই রাখা হয়েছে। দেশে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের নজির এই প্রথম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন এবং গণপরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে ৬টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আওতায় নির্মাণ করা হবে ১ শত ২৮ কিলোমিটার রুট, যার ৬৭ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে এবং ৬১ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে।
এসময় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ও প্রকল্প পরিচালকগন।