এবার জেলা উপজেলাসহ আওয়ামী লীগের কমিটি, সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ত্যাগীদের মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। অনুপ্রবেশকারীদের দলে প্রবেশের ব্যাপারেও সবোর্চ্চ সতর্ক থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশের ব্যতয় ঘটলে কমিটি বিলুপ্তসহ কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারী দিয়েছেন দলীয় প্রধান।
মহামারী করোনা সংকটের মধ্যে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভার পর এই প্রথম দলের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয় গণভবনে। সভায় দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভাপতিমণ্ডলীর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আলোচনা হয় জেলা উপজেলা কমিটি নিয়ে। দলীয় প্রধান স্পষ্ট বলেন, নিজের লোক কমিটিতে থাকলে অনুমোদন পাবে না সে কমিটি। এমনটাই জানালেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এসময় তিনি আরো জানান,
কমিটিতে কোন রেশারেশি থাকলে কমিটি গঠনের পর ব্যক্তিগত আক্রোশে কেউ কারও সাথে খারাপ আচরণ করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, তৃণমূলকে ঢেলে সাজাতে বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়, যেখানে বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করবেন একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। এদিকে কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা অনুযায়ী ত্যাগীদের কমিটিতে আনতে এবং অনুপ্রবেশকারীদের দলে না ভিড়াতে সদা তৎপর তারা।