অসীম হিমেলের নতুন উপন্যাস ‘মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা’ এখন বাজারে। ভাওয়াল উপখ্যান অবলম্বনে তরুন লেখক অসীম হিমেল প্রকাশিত এটি তাঁর তৃতীয় উপন্যাস। এই উপন্যাসটি কাকলী প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
তবে এই উপন্যাসের বিক্রির সম্পূর্ণ লভ্যাংশ সামাজিক কাজে দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লেখক নিজেই।
জানা গেছে, এর আগে একই লেককের
‘মধ্যরাতের অভিযান’ ও জোছনায় নীল আকাশ’ নামে দুটি উপন্যাস বাজারে আসে। তরুন এই লেখকের ওই দুই উপন্যাস দিয়ে পাঠকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন।
অসীম হিমেল গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বালীগাঁও গ্রামে ১৯৮১ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উপজেলার কালীগঞ্জ রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ (আর.আর.এন) পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এসএসসি পাস করেন।
পরে এইচএসসি, চিকিৎসা বিদ্যায় গ্রাজুয়েশন, পোষ্ট গ্রাজুয়েশন, বিসিএস চাকরি সব মিলিয়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন।চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
নতুন উপন্যাস সম্পর্কে লেখক অসীম হিমেল বলেন, আমরা ভাওয়াল রাজা বলতে রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরীকে আর রানী বলতে রানী বিলাসমনি দেবীকে বুঝি। আমার পূর্বপুরুষ এই ভাওয়াল রাজার প্রজা হিসেবে খাজনা দিতো। অনেকেই তাদেরকে মনে করে ভাওয়াল রাজার চমকপ্রদ উপাখ্যানের রাজা-রানী।
আসলে তাদের মেজো পুত্র রমেন্দ্র কুমার আর তার স্ত্রী বিভাবতীর কাহিনী এটি। যে রাজা মারা যাবার বারো বছর পরে আবার সন্ন্যাসী বেশে ফিরে এসেছিল। যতবার রাজবাড়ীর সামনে গিয়েছি ততবার রানীর বিষ খাওয়ায়ে রাজাকে মেরে ফেলার এবং বেঁচে ফিরে আসার কাহিনী মনে পড়েছে। তাই এই চমকপ্রদ কাহিনীটাকে আমি আমার নিজের মতো করে নাম, চরিত্র, স্থান, কাল, সময় আর কাহিনী ঠিক রেখে এই ‘ মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা’ উপন্যাসটি লিখে ফেললাম।
তিনি আরো বলেন, এখানে রাজা রমেন্দ্র কুমারের ভালো লাগা, কষ্ট, মৃত্যুর বারো বছর পরে সন্ন্যাসী হয়ে বেঁচে ফিরে আসা। নিজের পরিচয় ফিরে পাওয়ার জন্য আইনী লড়াইয়ের টানাপোড়ন, রানী বিভাবতীর সুখ-দুঃখের কথা, নিজের স্বামীকে অস্বীকার করা, রানীর ভাই সতেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর চক্রান্তের কথা, ডাক্তার আশুতোষ সেনগুপ্তের রহস্যময় আচরণ সবকিছু উঠে এসেছে গল্পের প্রয়োজনে। গল্পে গল্পে ইতিহাস উঠে এসেছে এই উপন্যাসে।