বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা করা সত্ত্বেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ২০২১ সালের মাঝামাঝির আগে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যাপক ইমিউনাইজেশন সম্ভব হবে না।
জেনেভা ভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, কোভিড-১৯ রোধে ভ্যাকসিন উন্নয়ন প্রতিযোগিতার তোড়জোড় সত্ত্বেও এ নিয়ে উদ্বেগের কারণে এটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রয়োগে সমর্থন দেবে না।
করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২ কোটি ৬০ লাখের বেশী লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা চূড়ান্ত ট্রায়ালে রয়েছে এমন সম্ভাব্য ‘বেশ কিছু ভ্যাকসিন’ বিবেচনায় নিয়েছে। এসব ভ্যাকসিন টেস্টের সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ জড়িত রয়েছে।
ডব্লিউএইচও মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন,‘বাস্তব সময়সীমার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে ব্যাপক টিকা দেয়ার আশা করছি না।’
রাশিয়া ইতোমধ্যেই একটি ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে, শুক্রবার দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়, প্রাথমিক টেস্টে অংশ নেয়া রোগীদের এন্টিবডির উন্নয়ন হয়েছে এবং গুরুতর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই টেস্ট হয়েছে সীমিত আকারে, সুরক্ষা ও কার্যকারিতা যাচাইয়ে মাত্র ৭৫ জন রোগীর ওপর টেস্ট করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোকে ১ নভেম্বরের মধ্যে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের জন্য তৈরি থাকতে বলেছে। ৩ নভেম্বর নির্বাচনের আগে ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।