ভাল সময়ের পাশাপাশি তারকাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘ আসে দুঃসময়ও। এ রকমই এক পর্বের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল ববি দেওলকে। পরে এক সাক্ষাৎকারে ববি নিজেই স্বীকার করেছিলেন, তিনি এক সময়ে সুরাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। নিজের উপরই তাঁর করুণা হত। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজ, সিনেমায় পর পর কাজ করলেও এমনও সময় গিয়েছে যখন ববি দীর্ঘ দিন কর্মহীন অবস্থায় বসে ছিলেন।
বাবা ধর্মেন্দ্র এবং দাদা সানির তুলনায় সাফল্যের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে ববি দেওল। কেরিয়ারের মাঝপথে একটানা ছবি ফ্লপ করায় সমসাময়িক নায়কদের তুলনায় পিছিয়ে পড়েন ববি। তাঁর অভিনয়ে হাতেখড়ি অবশ্য শৈশবেই। ১৯৭৭-এ ববি শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন ‘ধরমবীর’ ছবিতে। এর পর নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ, ১৯৯৫ সালে, ‘বরসাত’ ছবিতে। ধর্মেন্দ্রর প্রযোজনায় রাজ কুমার সন্তোষীর পরিচালনায় সুপারহিট হয়েছিল ‘বরসাত’।
কিন্তু বাবার ছত্রছায়ায় ব্লকবাস্টার সূত্রপাত হলেও পরে পিছিয়ে পড়েন ধর্মেন্দ্রর ছোট ছেলে। বক্স অফিসে ছবির ব্যর্থতা সহ্য করতে না পেরে এক সময় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন ববি। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে সুরার নেশাই হয়ে ওঠে তাঁর একমাত্র আশ্রয়। ববি নিজেই জানিয়েছেন, তিনি সে সময় নিজেকে বাইরের সবার থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। হয়তো আরও তলিয়ে যেতেন, যদি না নিজেই নিজের রাশ টেনে ধরতেন। স্ত্রী তন্যা এবং দুই সন্তানের কথা ভেবে ববি নিজেকে বোঝাতে শুরু করেন।
নিজের চেষ্টায় ফিরে আসেন জীবনের ছন্দে। জিমে গিয়ে শরীরচর্চার পরে তিনি কথা বলেন ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের সঙ্গে। কাজের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। একটা সময় কাজ আসতেও শুরু করে। ববি ঠিক করেন, ছোট-বড় বিচার না করে তিনি যে কোনও কাজে রাজি হবেন। ২০১০-এর পর থেকে ববি দেওলের কেরিয়ার থমকে গিয়েছিল অনেকটাই।
বছরে একটার বেশি ছবিতে তিনি সুযোগ পেতেন না। ২০১৩ থেকে শুরু করে টানা চার বছর তাঁর হাতে কোনও কাজই ছিল না। ২০১৮-এ অভিনয় করেন ‘রেস থ্রি’-তে। গত বছর ‘হাউসফুল ফোর’-এও তাঁকে দেখা গিয়েছে। কাজ করেছেন ‘ক্লাস অব ’৮৩’ এবং ‘আশ্রম’ ওয়েব সিরিজেও। দর্শকদের মতে, ববি দেওল যে ভাবে কামব্যাক করছেন, তা প্রশংসনীয়।