1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন

সুপার ফিট’ অস্ট্রেলিয়া মাঠে নামতে প্রস্তুত : ল্যাঙ্গার

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০
  • ৮০৯

‘সুপার ফিট’ অস্ট্রেলিয়া দল আসন্ন সীমিত ওভারের সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামতে প্রস্তুত বলে জানান অসিদের প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার।
গেল মার্চের পর করোনাভাইরাসের মধ্যেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আবারো ক্রিকেটে ফিরছে অস্ট্রেলিয়া।

পার্থ থেকে সরাসরি ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে পৌঁছায় ২১ সদস্যের অস্ট্রেলিয়া দল। করোনার কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডার্বিতে পৌঁছে আইসোলেশনে আছে ক্রিকেটাররা।


আইসোলেশন থাকাকালীনই অনুশীলনের অনুমতি পাবেন ক্রিকেটাররা। এরপর নিজেদেও মধ্যে চারটি অনুশীলন ম্যাচও খেলবেন তারা। প্রায় ছয় মাস পর ২২ গজে খেলার সুযোগ হবে স্মিথ-ওয়ার্নারদের।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে জৈব-সুরক্ষার মধ্যেই টি-২০ সিরিজ দিয়ে সফর শুরু হবে। সাউদাম্পটনে হবে টি-২০ সিরিজের সবগুলো ম্যাচ। টেস্ট দিয়ে ইতোমধ্যে ক্রিকেটে ফিরেছে ইংল্যান্ড। গেল ৮ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরে ইংলিশরা।


সংক্ষিপ্ত ভার্সনের পর ম্যানচেষ্টারেই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিন ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ ।
স্বাভাবিকের চেয়েও বড় একটি স্কোয়াড সাজিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে থাকাকালিন অন্য কোন খেলোয়াড়কে দলে নিতে পারবে না তারা। অনুশীলন ম্যাচের জন্য তাদের পর্যাপ্ত খেলোয়াড় আছে বলে মনে করেন ল্যাঙ্গার।


তিনি বলেন, ‘আমরা ইংল্যান্ডে যাতে প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ন ভালো কিছু ম্যাচ খেলতে পারি সে জন্যই ২১ সদস্যের দল গঠন করেছি। ছেলেরা কৌশলগত অনেক কাজ করেছ। ইংল্যান্ড পৌঁছানোর আগেই তারা সুপার ফিট। আমরা সরাসরি অনুশীলনে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আমরা ছেলেদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি, যাতে খেলা শুরু করতে পাওে এবং আমরা সেটাই আশা করছি। কারন আমাদের সাথে ২১ জনই ফিট খেলোয়াড় এসেছে। যাতে আমরা অনুশীলন ম্যাচের মধ্যে থাকতে পারি।’


অধিনায়ক আ্যারন ফিঞ্চের সাথে ইনিংস শুরু করবেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে থাকছেন স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন।
ল্যাঙ্গার বলেন, দলের সাথে একজন ক্রীড়া মনোবিজ্ঞানী আছেন। জৈব-সুরক্ষার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে যাতে খেলোয়াড়দের কোন সমস্যা না হয় সেটা দেখবেন মনোবিজ্ঞানী।’


ফিঞ্চের অধিনায়কত্বে গঠিত দলে তিনজন নতুন মুখ রয়েছে। তারা হলেন- ড্যানিয়েল সামস, রিলি মেরিডিথ ও জশ ফিলিপ। আগামী বছর ভারতে ও ২০২২ সালে নিজ দেশে টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য দল নিয়েও পরিকল্পনা আছে তাদের।


ল্যাঙ্গার বলেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে না পারাটা খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা হতো। তিনি জানান, ‘আমরা এখনো সেরা এগারজনকে নির্বাচন করিনি। এভাবেই সব সময় অস্ট্রেলিয়া দলে কাজ করা হয়েছে এবং কিছু তরুণ খেলোয়াড় আছে যদি তারা অনুশীলন ম্যাচে পারফরমেন্সের মাধ্যমে জায়গা করে নিতে পারে, তবে তা দুর্দান্ত হবে। অন্যথায়, তাদের দলের সাথে রাখা ভালো হবে এবং যাতে তারা অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পাবার মত অবস্থা অনুভব করতে পারে।’


২০১৮ সালের সফরে ইংল্যান্ডের কাছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। এর আগে একই বছরই দক্ষিণ আফ্রিকায় বল বিকৃতির ঘটনার কারনে ড্যারেন লেহম্যানের স্থলাভিষিক্ত হন ল্যাঙ্গার। তাই কোচ হিসেবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হয়েছিলো তাকে।
ল্যাঙ্গার স্বীকার করেন, ঐ সময়টা সহজ ছিলো না। তিনি বলেন, ‘আমি কোন খেলোয়াড়কে ভালোভাবে জানতাম না, তারা আমাকে চিনতো না। আমরা সবাই খুবই সংকটপূর্ণ অবস্থায় ছিলাম।

আমরা সেই সময় বিশ্বের সেরা ওয়ানডে দল নিয়েছিলাম কিš সময়টা বেশ কঠিন ছিল। তবে আমরা স্মিথ ও ওয়ার্নারের মত বিশ্বমানের খেলোয়াড় পেয়েছি। আমরা আমাদের পেসারদের ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এখন আমরা অনেক দূর এসেছি, তাই নয়?

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪