করোনাকালে মানবিক বিবেচনায় বার-কাউন্সিলের এম.সি.কিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সনদ প্রদানের দাবিসহ ৩ দফা দাবিতে সোমবার (২৪ আগষ্ট) দুপুর রংপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আইনমন্ত্রী ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এম.সি.কিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রংপুর বারের শিক্ষানবীশ আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ, রাতুলুজ্জামান রাতুল, রাকিবুল হাসান, হাফিজুর রহমান, পারুল বেগম, লাকি পারভীন, রোজিনা খাতুন,নাসির সুমন, স্বপন রায় প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়-বার কাউন্সিলের পরীক্ষা গ্রহণের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে হাজার হাজার শিক্ষানবীশ আইনজীবীর মেধা ও জীবনের মূল্যবান সময়ের অপচয় ঘটছে। ২০১২ সালের পূর্বে বছরে ২ টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো।
এরপর থেকে পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন ও ৩/৪ বছর পর পর তিনস্তরে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রতিবছর পরীক্ষা গ্রহণ ও তালিকাভুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে আপীল বিভাগের নির্দেশনা থাকার পরও তা উপেক্ষিত হয়েছে।
এবার দীর্ঘদিন পর চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে রিটেন-ভাইবা পরীক্ষা গ্রহণে অনেকবেশী সময়ের অপচয় ঘটবে। তাছাড়া রিটেন পরীক্ষা সম্পূর্ণরুপে বিতর্কিত ও দীর্ঘসূত্রিতার।
তাই মানবিক বিবেচনায় বার কাউন্সিলের এমসিকিউ উত্তীর্ণদের রিটেন,ভাইবা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিশেষ গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সনদ প্রদান,
রিটেন পরীক্ষা চিরতরে বাতিল,পরবর্তী এমসিকিউ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা ও এনরোলমেন্ট কমিটি সংস্কারের দাবি জানানো হয়।