শ্রীলংকার বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচ সিরিজ দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে চান ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেন।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেশ সেরা বোলারদের কাতারে নাম লেখালেও বিগত ১১ বছরের মধ্যে মাত্র ২৭টি টেস্ট খেলার সুযোগ হয়েছে রুবেলের। ২০১৮ সালের পর এ বছর তিনি প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়াল পিন্ডিতে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ১১৩ রানে ৩ উইকেট পেলেও দল থেকে ছিটকে পড়েন রুবেল। এই বছর মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে ঠাই হয়নি তার।
২৭ টেস্ট থেকে ৩৬ উইকেট নেয়া রুবেলের টেস্ট গড় ৭৬.৭৭। যেটি টেস্ট বোলিং ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ফিগার। তবে হাল ছাড়তে রাজি নন রুবেল। বলেন টেস্ট দলে জায়গা পেতে সর্বাত্মক চেস্টা করে যাবেন তিনি।
উজাড় করে দিতে চান নিজের সেরাটা।
রুবেল বলেন,‘ আপনারা জানেন ইংল্যান্ডে ক্রিকেট শুরু হয়ে গেছে। সেখানে তাদের সঙ্গে খেলছে পাকিস্তান। তাই শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। সিরিজটি খুবই চমৎকার হবে আশা করছি।
বাংলাদেশ দলের এই পেসার আরো বলেন,‘ আমাদের মনোযোগ এখন আসন্ন শ্রীলংকা সফর। আমার লক্ষ্য হচ্ছে ওই সিরিজে দলে সুযোগ করে নেয়া। আমি যদি সুযোগ পাই তাহলে ভাল খেলার চেস্টা করব। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমি অনুশীলনও চালিয়ে যাচ্ছি। বোলিংয়ের পাশাপাশি নিজের ফিটনেস ও দক্ষতার উন্নতি নিয়েও আমি কাজ করছি। আমার মুল লক্ষ্য শ্রীলংকা সিরিজ।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উদ্যোগে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে গত কাল ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন রুবেল। নিজেকে ফিট রাখার জন্য ফিটনেস নিয়ে কাজ করে যাওয়া এই পেসার বলেন,‘ দুই-তিন দিন আগে আমি ঢাকা এসেছি। এর আগমুহুর্ত পর্যন্ত বাগেরহাটে বোলিং অনুশীলন করা সম্ভব হয়নি। আমি শুধু ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। এখানে বোলিং নিয়ে কাজ করছি।
বোলিং, ফিটনেস ও জিম করার সময় আমরা বোর্ডের নির্দেশিত স্বস্থ্যবিধি মেনে চলছি। বিসিবি চমৎকারভাবে এই এই পরিকিল্পনা সাজিয়েছে। এ পরিকল্পনার আলোকে আমরা বোলিং, ব্যাটিং ও ফিটনেস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
রুবেলের মতে বাগেরহাটে তার ফিটনেস নিয়ে বেশ ভাল কাজ হয়েছে। যা তাকে সঠিক আবয়বে রেখেছে। এখন বোলিংয়ের ছন্দ ফিরে পেতে চান তিনি। বাংলাদেশ দলের এই পেসার আরো বলেন,‘ আসলে করোনা ভাইরাস যখন বেশ খারাপ অবস্থায় চলে এসেছিল তখন কিছুই করার ছিলনা ক্রিকেটারদের। আমরা নিজ নিজ জেলায় ফিরে গিয়েছিলাম এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি।
বাগেরহাটে আমি ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি, দৌঁড়েছি। তবে ব্যাট বা বোলিং করার সুযোগ হয়নি। সে সময় প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি আমাদের হাতে নেই। গোটা দেশেই এটি মাহামারি আকারে ছড়িয়ে গেছে। আমাদের কিছুই করার ছিল না। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব সচেতন থাকতে। বিসিবির নির্দেশনা মোতাবেক এই সময় আমরা ফিটনেস নিয়ে নিয়মিত কাজ করেছি।’