বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু’র নেতৃত্বে বনানী গোরস্থানে বঙ্গমাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা গাজী মেজবাহুল হোসেন সাচ্চু,কাজী শহিদুল্লাহ লিটন,মজিবুর রহমান স্বপন, আব্দুল আলিম,আশিষ মজুমদার, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, অ্যাডঃ মানিক কুমার ঘোষ, শাহ জালাল মুকুল, মুকুল,মেহেদী হাসান মোল্লা, আবিদ আল হাসান, আরিফুর রহমান টিটু, আবু তাহের প্রমুখ।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপোষহীন লড়াই সংগ্রামের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা।
বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর পাকিস্তানি শাসকের হাতে বন্দী থাকাবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীদের লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাতেন বঙ্গমাতা।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে তরান্বিত করেছিলেন বঙ্গমাতা। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা একে অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থাশীল ছিলেন, একে অপরের আত্মা হয়ে থেকেছেন।
বঙ্গমাতা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সাথে থেকে নীরবে দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করে গেছেন। মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, সংগ্রামে নিরন্তর সহযোগিতা করেছেন, যা সত্যি অনন্য অতুলনীয়।
বঙ্গমাতা ছিলেন সহজ সরল ও সাধারণ জীবনের অধিকারী। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের সুখ দুঃখের সাথী, মরণেও ছিলেন পরমসঙ্গী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে বঙ্গবন্ধু নিহত হলে বঙ্গমাতা ঘাতকের কাছ থেকে মৃত্যু ভিক্ষা করে চিরবিদায় নেন পৃথিবী থেকে!
বঙ্গমাতার আদর্শ, দেশপ্রেম যুগ যুগান্তর জাতিকে পথ দেখাবে। তাঁর কর্মময় জীবনাদর্শ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জাতির পিতার সাথে এক আত্মায় মিশে থাকবেন বঙ্গমাতা।