সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে নিজ নিজ স্বার্থে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আজ চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে চট্টগ্রাম সড়ক জোন,বিআরটিসি,বিআরটিএ,টানেল প্রকল্পের অগ্রগতি ও ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের এ আহ্বান জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নতীকল্পে ইতিমধ্যে জাইকার অর্থায়নের নীতিগত অনুমোদন পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রামের মেট্রোরেল স্থাপনের লক্ষে কার্যক্রম শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি অর্থায়নের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয় ইআরডি’র মাধ্যমে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন দেশের অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হওয়া সত্বেও সড়কে এখনও শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি।
তিনি বিআরটিএ’কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সর্ষের মধ্যে ভূত অবশ্যই তাড়াতে হবে।
সড়ক ও সেতু উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিলেও সড়কে শৃঙ্খলা না ফিরায় ওবায়দুল কাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময় তিনি সড়ক নির্মাণ কাজের গুনগত মান নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি ঢলের আশংকা থাকায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ায় নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন শেখ হাসিনার সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে আছে এবং সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মানবিক সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে আছে।
সরকার কক্সবাজার থেকে ইনানী পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ ৩২ ফুট সড়কের প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নিয়েছে, এ প্রকল্পের প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের এক অনন্য উদ্যোগ কর্ণফুলী টানেল,এ টানেল সম্প্রসারণের পাশাপাশি বদলে দিবে বন্দরনগরীর উন্নয়ন চিত্র, মন্ত্রী এ টানেলের দুটো টিউবের একটির খনন কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে বলেও জানান।
ওবায়দুল কাদের সড়কের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং মানুষকে স্বস্তি দিতে অবিরাম বৃষ্টির কারনে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক তাৎক্ষনিক মেরামত করারও নির্দেশনা দেন।
বিআরটিসি দেশের পতাকাবাহী গণপরিবহন, শেখ হাসিনা সরকার এ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।
দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে না আসলে এ প্রতিষ্ঠান টিকানো কঠিন হবে, অনিয়ম বন্ধ করতে হবে এবং সতর্ক বা সংশোধন না হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও মন্ত্রী হুশিয়ার করেন। তিনি বিআরটিএ’কেও এ বিষয়ে সতর্ক করেন।