প্রয়োজন ছাড়া ঈদযাত্রা পরিহার করতে লঞ্চ যাত্রিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি । জীবনে অনেক ঈদ পাওয়া যাবে। ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে চলাচল করবেননা। নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করতে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ডিআরইউ’র প্রয়াত সদস্যদের স্মরণসভা ও পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে রিপোর্টার্স ইউনিটি পিছিয়ে থাকতে পারেনা। গণমাধ্যম সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যমকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। উন্নত দেশে এগিয়ে যেতে গণমাধ্যমে নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক সংবাদ দেখতে চাই। কাজ করতে গেলে ভুলক্রটি থাকবে। ভুলক্রটিগুলি ইতিবাচক সংবাদধারায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি নজরুল কবির, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, কল্যাণ সম্পাদক এম সাইফুল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান,
ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল খায়ের, সানরাইজ ইন্সুরেন্সের ডিএমডি সাহাবুদ্দিন সরকার, প্রয়াত হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা রেনু এবং খোন্দকার মহিতুল ইসলামের সহধর্মিনী খাদিজা ইসলাম। ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত চারজনের প্রত্যেক পরিবারের মাঝে গ্রুপ বীমার দু’লাখ এবং ডিআরইউ’র কল্যাণ তহবিলের এক লাখসহ মোট তিন লাখ টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।
প্রয়াত সদস্য আজাদ হোসেন সুমন, হুমায়ুন কবির খোকন, খোন্দকার মহিতুল ইসলাম ও আসলাম রহমানের পরিবারের সদস্যরা চেক গ্রহণ করেন। প্রয়াত বাকি তিন সদস্যের পরিবারের মাঝে পরবর্তিতে অনুদানের চেক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে দু’জন সদস্যকে দেড় লাখ টাকা করে চিকিৎসা অনুদানের চেক দেয়া হয়। চিকিৎসা অনুদানের চেক গ্রহণ করেন বাংলাদেশ অবজারভারের জীবন ইসলাম এবং আলোকিত বাংলাদেশের আফরোজা নাজনীন।
‘অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে-একথা যারা বলেন’ তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়নি। ৫ লক্ষাধিক কোটি টাকার বাজেট প্রণযন করা হয়েছে। গত অর্থ বছরে ৯০ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর কাজ চলছে, সাংবাদিকদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, সরকারি কর্মচারিদের বেতন দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট হবেনা। কারণ এদেশের দুরদর্শি নেতৃত্ব রয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার হাতে। ৭৫ এর পরাজিত গোষ্ঠি বাংলাদেশকে বিকলাঙ্গ, ব্যর্থ করে দিতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পরাজিত গোষ্ঠিকে মোকাবিলা করব।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি। সে স্বপ্ন পুরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধাভাবে এগিয়ে যেতে হবে। ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজ লুটেরা শ্রেণির মানুষ আমাদের মাথার ওপর উঠে গিয়েছিল, আমাদের এবং গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে।
করোনার কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনে বঞ্চিত হয়েছি। অনেক প্রস্তুতি ছিল। করোনার মতো কঠোর পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চাই।