করোনার এই সংকটে হাসপাতালগুলোর পরিবেশ তৈরি করে রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আজ তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান।
করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে সংক্রমণ উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যাবে বিশেষজ্ঞদের এমন আভাস প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন আসন্ন ঈদে জনসমাগম যে কোনো মূল্যে এড়িয়ে চলতে হবে।
তিনি বলেন গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ যাত্রায় সকলকে নিজের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
পশুরহাট-লঞ্চ-বাস-ট্রেন স্টেশন-ফেরিঘাট-শপিং মলসহ বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানা সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন মাস্ক পরিধান অবশ্যই করতে হবে।
করোনার সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে আক্রান্তদের পাশে থেকে যারা দিনরাত সেবা দিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন যারা সম্মুখসারিতে কাজ করছেন জাতির পক্ষ থেকে তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।
দেশ ও জাতি আপনাদের গ এ ত্যাগ চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে,আপনারা অন্যদের বেঁচে থাকার প্রেরণা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন যারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিল তাদের মুখে বর্তমান সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানকে নাটক বলে পরিহাস করা মানায় না।
তিনি বলেন শুরু থেকেই একটি মহল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাকেই দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্বপালনের ব্রত করে নিয়েছে।
তারা দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানকে সমর্থন ও সহযোগিতা না দিয়ে বরং অন্ধ সমালোচনা করছে।
সরকার নাকি অনিয়মকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে এমন অভিযোগ প্রত্যাক্ষাণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপির আমলে দূর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পেয়েছিলো, ছিলো দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন এদেশের রাজনীতিতে সততার প্রতিক বঙ্গবন্ধুর পরিবার, তাই সরকার ও শেখ হাসিনার অর্জন গুটিকয়েক ব্যক্তির লোভের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হতে পারে না
বন্যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে তাই অসহায় বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদেরও আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।