জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ১ কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। ওইদিন গণভবনে একটি তেঁতুল ও একটি ছাতিয়ান গাছের চারা রোপণ করার মাধ্যমে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন আজ একথা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ফলদ, একটি বনজ ও একটি ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৬ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ মৌসুমে সুবিধাজনক সময়ে দেশের ৪ শত ৯২টি উপজেলার প্রতিটিতে ২০ হাজার ৩ শত ২৫টি করে গাছের চারা রোপণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ জুলাই গণভবনে একটি তেঁতুল ও একটি ছাতিয়ান গাছের চারা রোপণ করার মাধ্যমে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ ‘মুজিববর্ষ’ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী এক কোটি গাছের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
বন মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা এদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মুজিববর্ষে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ মন্ত্রী এই কর্মসূচি সফল করতে সংসদ সদস্যগণসহ দেশের সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি প্রতিটি গাছ রোপণের পর নিয়মিত খোঁজখবর রাখা এবং যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ডক্টর মো. বিল্লাল হোসেন এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী ও মো. মিজানুল হক চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরী, বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আহমদ,
বন গবেষণা ইন্সটিটিউট এর পরিচালক ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক পরিমল সিংহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।