প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে গেল মার্চ মাস থেকে ক্রিকেট বন্ধ। তাই খেলোয়াড়রও ঘরবন্দি। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বাসায় থাকার ফলে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়াটা স্বাভাবিক বিষয়।
এ বিষয়টাকে মাথায় রেখে মনোবিদ নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শনিবার (১১ জুলাই) বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব কবে নাগাদ শেষ হবে, আর কবে নাগাদ ক্রিকেট মাঠে ফিরবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাই দেশের খেলোয়াড়দের জন্য মনোবিদ নিয়োগের সিদ্বান্ত নিলো বিসিবি। কানাডাপ্রবাসী মনোবিদ আলী আজহার খানকে নিয়ে ভাবছে বিসিবি। কারন অতীতে দু’বার বাংলাদেশ দলের সাথে কাজ করেছেন আজহার।
প্রথমে নারী জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য মনোবিদ নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। যদি সাফল্য পাওয়া যায়, তবে পুরুষ জাতীয় দলকেও এর আওতায় আনা হবে।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক চৌধুরী জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে নারী দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে আজহারের পাঁচটি সেশন হবে। সুবিধাজনক হলে, পরবর্তীতে সেশনের চিন্তা-ভাবনা করা হবে।
আজ দেবাশীষ বলেন, ‘এই মহামারীর সময়ে আমরা খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা সর্ম্পকে ইতোমধ্যে চিন্তা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কানাডাপ্রবাসী আলী খানের সাথে যোগাযোগ করেছি, যিনি আমাদের আগেও সাহায্য করেছিলেন। তাকে আমাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। আমাদের তিনি তার একটি পরিকল্পনা দিয়েছেন। তবে এখন নারী ক্রিকেট দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে এই পরিকল্পনার মধ্যে রেখেছি। যদি সফল হই পরে জাতীয় দলের ছেলে ক্রিকেটারদেরও আনবো। কিন্তু আগে আমরা এই দু’টি দলকে নিয়ে ভাবছি।’
মনোবিদের প্রতিটি ক্লাসে আপাতত ২৫জন ক্রিকেটার থাকবে।
২০১৪ সালে প্রথম বিসিবির সাথে কাজ করেন মনোবিদ আজহার। এরপর ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে আবারো আজহারকে যুক্ত করে বিসিবি। খেলোয়াড় জানায়, আজহারের ক্লাস থেকে উপকৃত হয়েছেন।