1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চিকিৎসকেরা সম্মতি দিলে খালেদা জিয়াকে আগামী রবিবার  লন্ডনে নেয়া হবে- বিএনপির মহাসচিব সংবাদ প্রকাশের জেরে এভারকেয়ারের সামনে সাংবাদিককে হেনস্তা ডেসকোর কল সেন্টারের নতুন যাত্রা শুরু আইরিশদের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ জয় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ডেসকো জিয়া পরিষদের বিশেষ দোয়া মাহফিল স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে  আলোকচিত্র প্রদর্শনী “ আনটোল্ড” অনুষ্ঠিত আনিনুল হক’কে ঢাকা-১৬ আসন উপহারের ঘোষনা বুলবুল হক মল্লিকে’র বোয়ালমারীতে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষের আশঙ্কা, এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা ডিআইজি পদে পুলিশের ৩৩ পুলিশ কর্মকর্তার পদোন্নতি

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৪০০ কোটি টাকার কাজ পেল রাশিয়ান কোম্পানি

  • সময় : শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০
  • ৫৬২

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থায় (পিপিএস) ব্যয় হবে দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা। রাশিয়ান কোম্পানি জেএসসি এলরন এই সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ করবে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। 


রাশিয়ান কোম্পানিটির সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পাবনার রূপপুর প্রকল্পের পারমাণবিক নিরাপত্তা ও ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা সেলের (এনএসপিসি) মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে এ চুক্তি সই হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে পিপিএস নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, এনএসপি’র প্রধান সমন্বয়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আখতার শহীদ, রাশিয়ার রোসাটমের মহাপরিচালক কনস্টানটিন দেনিসভ, এলরনের মহাপরিচালক অ্যান্দ্রে মুরাভিয়েভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) তিন হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিএস নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পিপিএস প্রকল্পটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক হুমকি মোকাবিলা করবে।

নিরাপদ ও সুরক্ষিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি তেজষ্ক্রিয় পদার্থের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, সাইবার নিরাপত্তা এবং সংবেদনশীল তথ্য ব্যবস্থাপনা এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। 


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকার সেনাবাহিনীকে দিয়েছে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দুই দেশের সরকারের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার কোম্পানি এলরন এ নিরাপত্তা প্রকল্প নির্মাণের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে।


এই বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে সহযোগিতা করছে রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রাশিয়ান স্টেট অ্যাটমিক অ্যানার্জি করপোরেশন (রোসাটম)। চুক্তি অনুযায়ী, রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট রূপপুর প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি হয় ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। এখন ভারত রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ, পরিচালনা, লোকবল প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা বিষয়ে পরামর্শ ও কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারবে।


দেশের সব থেকে বড় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এর ৯০ শতাংশ অর্থ রাশিয়ার কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নিচ্ছে বাংলাদেশ। ভিভিইআর প্রযুক্তির এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দু’টি ইউনিটে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪