সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর।
গত ২ জুন জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় সাহারা খাতুনকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে গত ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এরপর তার অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ড নেয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন।
সাহারা খাতুন ১৯৪৩,১ মার্চ সালে ঢাকার কুর্মিটোলার জন্ম গ্রহণ করেন
তার পিতা-মাতা হলেন যথাক্রমে, আব্দুল আজিজ ও টুরজান নেসা। তিনি বি.এ এবং এল.এল. বি ডিগ্রী আর্জন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
সাহারা খাতুন ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি বর্তমানে একজন সংসদ সদস্য ,তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি কল্যাণমূলক রাজনীতির অগ্রদূত ও শেখ হাসিনার প্রিয় ব্যক্তি। সাহারা খাতুন গ্রেফতার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ।সাহারা নিজে রাজনৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০৮ এর তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৮ হতে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনন্দিত হয়ে জনগণকে তার দেয়া প্রতিশ্রুতি; সড়ক পুননির্মাণ ও ড্রেন সংস্করণের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন।বিজয় লাভ করার পর তিনি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মনোনীত হন।তিনি ৬ ই জানুয়ারি ২০০৯ সালে তার দফতরে প্রবেশ করেন।২০১২ সালে মন্ত্রণালয়ের রদবদল ঘটলে তিনি বাংলাদেশ সরকার এর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ।
২০০৯ সালের সময় বিডিআর বিদ্রোহ, শুরু হলে তিনি দ্বন্দ্ব সমাধানে নেতৃত্ব করেন ।বিদ্রোহীদের খারাপ দিকটার সুরাহা করেন, যেটা সৈনিকদের পক্ষে ও বাংলাদেশ রাইফেল অফিসারদের বিরুদ্ধে। যারা বাংলাদেশের আধাসামরিক সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। তিনি সেখানে বাংলাদেশ রাইফেল এর ক্যাম্পাসের নিকট গিয়েছিলেন।তাদের মাঝে আপসের জন্য উদ্দীপনা মূলক কথা বলেন এবং বিদ্রোহীদের অস্ত্র জমা দিতে বলেন।
এই সময়ে বাংলাদেশ রাইফেলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্তবিচারের কাঠগরায় দাড় করায়।