রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আগুনে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গভীর দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে বুধবার (২৭ মে) আনুমানিক রাত ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে হাসপাতাল সংলগ্ন তবে মূল ভবনের বাইরের কভিড আইসোলেশন ইউনিটে সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন আইসোলেশন ইউনিটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় আবহাওয়া খারাপ ছিল ও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। বাতাসের তীব্রতায় আগুন প্রচণ্ড দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে ভর্তি পাঁচজন রোগীকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি এবং ভেতরে থাকা এই পাঁচজন রোগী মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এইআইসোলেশন ইউনিটের পাঁচজনের সকলেই করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। তারা হলেন- রিয়াজুল আলম (৪৫), খাদেজা বেগম (৭০), ভেরুন এন্থনি পল (৭৪), মনির হোসেন (৭৫) ও মাহাবুব (৫০)।
দমকল বাহিনীকে তাৎক্ষণিক খবর দেয়া হয়। হাসপাতালের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও দমকল বাহিনীর সহায়তায় ১৫-২০ মিনিটে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে দমকল বাহিনী তদন্ত করছে এবং ইউনাইটেড হসপিটাল কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে তাদের পূর্ণ সহায়তা প্রদান করছে।
এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় পাঁচজন রোগীকে আমরা হারিয়েছি। তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারকে আমরা ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করছেন। ইউনাইটেড হসপিটালের সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে আমরা এই শোকাবহ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি সকল রোগীর নিরাপত্তার ব্যাপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে কাজেই হাসপাতালে ভর্তি রােগী ও তাদের পরিবারকে এই অনভিপ্রেত ঘটনায় আতঙ্কিত না হতে অনুরাধ করছি। একই সাথে এই দুর্যোগের সময়ে ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ইউনাইটেড হসপিটালকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।