1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৫ অপরাহ্ন

নির্বাচনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার দাবি

  • সময় : সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ৭৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে হলফনামার সাথে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামুলক করা এবং মাদক মামলার আসামিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব এ,এম,এম নাসির উদ্দিন এর কাছে আবেদন করেছে ধূমপান ও মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন (ডিএমবিএফ)।

আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ আবেদন জমা দেন ফাউন্ডেশনের সদস্যগণ।

উক্ত আবেদনে বলা হয় “বর্তমানে দেশের মাদক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ! মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ। মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। সকল প্রকার মাদকদ্রব্য নেশা সৃষ্টি করে, সুস্থ মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটায় এবং জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি লোপ করে দেয় যা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ। সমাজ, দেশ পরিচালনার ভার যাদের উপর বর্তায় তারা যদি মাদকাসক্ত কিংবা মাদকসংশ্লিষ্ট হন তাহলে দেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।”

জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা থাকলেও  কোথাও প্রার্থীগণের মাদক সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে কিছু বলা নাই। ফলে সমাজের মাদকাসক্ত কিংবা মাদকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে।  আর এই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলেও সংগঠনটির আবেদনে জানানো হয়।

তাই যুব সমাজকে বাঁচাতে; জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে মাদক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, বিশেষ করে যাদের নামে মাদক মামলা আছে তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি এবং  নির্বাচনী হলফনামার সাথে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট রিপোর্ট অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানানো হয় ধূমপান ও মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন (ডিএমবিএফ) এর পক্ষ থেকে।

এ বিষয় ধূমপান ও মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন (ডিএমবিএফ) সভাপতি জনাব মিজানুর রহমান বলেন, “জনপ্রতিনিধিত্ব হলো জনগণের আস্থা ও দায়িত্বের জায়গা। একজন প্রার্থী যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ না থাকেন, বিশেষত মাদকের প্রভাবে থাকেন, তবে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এজন্য জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা জরুরি।”

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জনাব আলীউল আজীম রাজু বলেন, “কেউ জনপ্রতিনিধি হয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়েছে, আবার কেউ মাদকের টাকার জোরে বাহিয়েছেন জনপ্রতিনিধির চেয়ার, আবার কেউ জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে জনসর্মথন অর্জনের চেষ্টায় বিভিন্ন ভাবে অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছেন । চিহ্নিত এসব মাদকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নির্বাচিত হলে তাদের এলাকায় মাদক নির্মূল দূরে থাক, উল্টো মাদকের বিস্তার আরও বাড়বে। এতে মাদকসেবীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। তাই মাদক মামলা থাকলে তাকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে এবং এতে অন্তত মাদকমুক্ত ব্যাক্তি জনপ্রতিনিধি হলে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সহায়ক হবে”

উল্লেখ্য যে, “ধূমপান ও মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন” একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংগঠন। ২০১৭ সালের প্রতিষ্ঠার পর হতে কিশোর-কিশোরী, ছাত্র-ছাত্রী, যুবকসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে ধূমপান ও মাদক হতে দূরে রাখতে সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পরিবেশ রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, সেন্টমার্টিন দ্বীপ প্লাস্টিক ও পর্যটন ময়লা অপসারণ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্যায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমসহ গণতন্ত্র, সুশাসন, ভোটার সচেতনতা, মানবাধিকার, যুব উন্নয়ন, নাগরিক ক্ষমতায়নমূলক কার্যক্রম ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে “ধূমপান ও মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন” সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

সংগঠনটি দেশব্যাপী সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মসূচী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের ১২৭ টি উপজেলায় সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান এবং সকল উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তৃতির লক্ষ্যে সদস্য সংগ্রহ ও কমিটি গঠন চলমান রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪