ডেস্ক রিপোর্ট –
রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনার প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে কলেজের গোল চত্বরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।‘বিচার চাই না, সন্তানের লাশ চাই’, ‘সঠিক লাশের হিসাব চাই’, এমন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে সড়কের ওপর বসে পড়েন। এ সময় পুলিশ একাধিকবার তাদের সরে যেতে বললেও শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে স্কুলের সামনে ভিড় জমিয়েছেন নিহতদের স্বজন, শিক্ষার্থী ও উৎসুক জনতা। সকাল ৯টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। নিহতদের নাম ও পরিচয় প্রকাশসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দোলন হবে সম্পূর্ণ অহিংস এবং গণতান্ত্রিক। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থানে থাকবে আপসহীন। ‘ভয় নয়, আমরা চাই ন্যায়বিচার’—এমন স্লোগান সামনে রেখে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো-
১. দুর্ঘটনায় নিহতদের সঠিক নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে হবে।
২. আহতদের নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৩. ঘটনাস্থলে শিক্ষকদের গায়ে ‘হাত তোলার’ অভিযোগে নিঃশর্ত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৪. নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ বিমান বাতিল করে নতুন ও নিরাপদ প্লেন চালু করতে হবে।
৬. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ এলাকা মানবিক ও নিরাপদভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
এর আগে সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়েছে একটি প্রশিক্ষণ বিমান। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ জনই শিশু। আহত হয়েছেন নিহতদের মধ্যে বাকি দুজনের মধ্যে একজন হলেন বিমানটির পাইলট এবং অপরজন এক নারী শিক্ষিকা।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়ন করে। দেড়টার কিছু সময় পর এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির।
জানা গেছে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মাইলস্টোন স্কুলের ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। ভবনটির নাম হায়দার হল।