ডেস্ক রিপোর্ট-
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এরআগে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সাইদুর রহমান ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, ৪৮ জনের মতো রোগী বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিকাল সাড়ে এখন পর্যন্ত ৪৮ জন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ২৮ জনের নাম রয়েছে। দগ্ধরা হলেন, শামীম ইউসুফ (১৪), মাহিন (১৫), আবিদ (১৭), রফি বড়ুয়া (২১), সায়েম (১২), সায়েম ইউসুফ (১৪), মুনতাহা (১১), নাফি (), মেহেরিন (১২), আয়মান (১০), জায়েনা (১৩), ইমন (১৭), রোহান (১৪), আবিদ (৯), আশরাফ (৩৭), ইউশা (১১), পায়েল (১২), আলবেরা (১০), তাসমিয়া (১৫), মাহিয়া (), অয়ন (১৪), ফয়াজ (১৪), মাসুমা (৩৮), মাহাতা (১৪), শামীম, জাকির (৫৫), নিলয় (১৪) সামিয়া।
আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ যুদ্ধবিমান সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়।
বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। অনেক দূর থেকেও সেখানে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। জ্বলন্ত উড়োজাহাজটির আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল গণমাধ্যমকে বলেন, বিমানটি একটি ভবনের গেইটে আছড়ে পড়ে। সেটি অ্যাকাডেমিক ভবন। সেখানে স্কুলের বাচ্চাদের ক্লাস চলছিল। একের পর এক আহতদের বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে।