ডেস্ক রিপোর্ট –
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশ শেষে ফিরে আসার সময় সড়ক অবরোধ করে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আজ বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
এনসিপির সমাবেশ ঘিরে আজ সকাল হতেই গোপালগঞ্জে আতঙ্কিত অবস্থা বিরাজ করছিল। নাহিদ ইসলাম-হাসনাত আব্দুল্লাহসহ এনসিপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সমাবেশস্থলে আসার আগেই সেখানে হামলা করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বেলা পৌনে দুইটার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে যায়। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান।
পরে সমাবেশস্থলে এসে ভাষণ দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এনসিপি নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা হয় বেলা পৌনে তিনটার দিকে, শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। মোতায়েন করা হয়েছে চার প্লাটুন বিজিবি।
সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।