মোঃশামসুর রহমান তালুকদার-
বর্তমান সময়ে টাঙ্গাইলে ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাবের সাথে সাথে সৃষ্ট গরমে সাধারণ জনগণের জীবিকা নির্বাহ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় গ্রাহকদের ভাষ্যমতে,গত কয়েক দিন ধরে দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে।
টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন মার্কেট; সদর উপজেলার কাগমারা, বাসাখানপুর, ধরেরবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, জেনারেটর চালিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে তাদের বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।
শহরের ওষুধ ব্যবসায়ী আজাদ বলেন, “দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে এমনিতে ক্রেতা কম। এরপর কয়েক দিন ধরে লোডশেডিং হওয়ায় ক্রেতা পাওয়া যায় না। সারাদিন দোকান করতে গিয়ে নিজেরই ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়।”
টাঙ্গাইল শহরের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ বুলেটিন কে বলেন, “দিন-রাত মিলে ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা জেনারেটর চালাতে হয়। এতে প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা খরচ হচ্ছে। দেশের অশান্ত পরিবেশে জেনারেটরের তেল পাওয়ায় কষ্টকর। সব মিলিয়ে গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সমুহ।”
সদর উপজেলার বাসাখানপুর গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ‘দিনে ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাই না। অটোতে ঠিকমত চার্জ না হবার কারণে অটো চালাতে পারছিনা। এতে বাসায় খাবার সংকট তৈরি হয়েছে।’
ধরেরবাড়ী গ্রামের আলফাজ মিয়া বলেন, ‘ভ্যাপসা গরম, এর মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং। ছোট নাতি-নাতনি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। যে গরম তা আমরা সহ্য করতে পারি না। আর শিশুরা কীভাবে সহ্য করবে।
সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের তাঁত শাড়ী ব্যবসায়ী আজাহার আলী বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শাড়ি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় শ্রমিকরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না।
এ বিষয়ে,টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান মুঠোফোনে বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানান, টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের ১৫০ মেগাওয়াট চাহিদা থাকলেও ১০৫ থেকে ১১৫ মেগাওয়াট সরবরাহ পাওয়া যায়। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে সরবরাহ কমে ৯০ এর নিচে নেমে আসে। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার হতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান,বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ঘাটতি সমন্বয় করা হয়।পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন,এ সমস্যা অতি দ্রুতই সমাধান করা হবে।