1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৫ জেলার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে টাঙ্গাইলবাসী ভোমরা সীমান্ত থেকে ৪টি স্বর্নের বারসহ এক চোরাচালানীকে আটক করেছে বিজিবি আমার ইহকাল আমার পরকাল প্রথম বাংলাদেশি নারি হিসেবে আইটিএফ হুয়াইট ব্যাজ রেফারির স্বীকৃতি পেলেন আফরিন চিকিৎসকের ওপর হামলা ও রোগীর প্রতি অবহেলা সহ্য করা হবে না-স্বাস্থ্য মন্ত্রী নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত ২৩ নাবিক নিয়ে দেশের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর যাত্রা শুরু আপিল বিভাগের ২ বেঞ্চে আলাদাভাবে বিচারকাজ চলবে-প্রধান বিচারপতি শেখ জামালের ৭১ তম জন্মদিনে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

রাজধানীতে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে র‌্যাবের অভিযান; ১৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায়!

  • সময় : সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
  • ১৭

স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লাইসেন্সবিহীন অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মোবাইল কোর্ট  পরিচালনা করেছে র‌্যাব। এসময় বিভিন্ন অপরাধে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।

সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সকালে র‍্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ‘সীমান্তিক ক্লিনিক’ এর মালিক মোঃ সামসুদ্দীন (৬২) কে ৩ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করে এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান মাহবুব আলম (৫২) এর কোন প্রকার শিক্ষাগত সনদ না থাকায় ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।
হাসপাতালটির কোনো পরিবেশ ও নার্কোটিক্স ছাড়পত্র ছিল না এছাড়া ঔষধ রাখার স্টোর ছিল নোংরা, ওটি ও এক্সরে রুম অস্বাস্থ্যকর, ডিউটি ডাক্তার ১৫ জনের স্থলে পাওয়া যায় মাত্র ১০ জন, নার্স ৩০ জনের স্থলে পাওয়া যায় ১২ জন, এবং প্রতিষ্ঠানটির নেই কোনো ফায়ার লাইসেন্স।

পরবর্তীতে খিলগাঁও এলাকায় অবস্থিত ‘পিপলস্ হসপিটাল’ এর মালিক মোঃ মনোয়ারুল হক (৩৫) কে ৪ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের লাইসেন্স এর মেয়াদ নেই, ছিলো না ব্লাড ব্যাংক এর লাইসেন্স, পরিবেশ ও নার্কোটিক্স ছাড়পত্রও তাদের নেই এছাড়া ওটি ও এক্সরে রুমের পরিবেশ ছিল অস্বাস্থ্যকর, এখনেও ছিল অপ্রতুল ডাক্তার ও নার্স।

তিনি আরও জানান, একই দিনে মুগদা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ‘ফ্রেন্ডস কেয়ার হাসপাতালে’ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হাসপাতালের মালিক  শফিকুর রহমান এবং সাকুর আহমেদ কে ৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এছাড়া মুগদা সুরাইয়া হাসপাতালের মালিক মোঃ সিরাজুল ইসলাম কে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।

অভিযানের বিষয়ে অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, র‍্যাব-৩ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজাধানীর বিভিন্ন এলাকায় লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার মাধ্যমে রুগীদের সাথে প্রতারনা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ও ভুল চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে নানাভাবে রুগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নানা দুর্ভোগে ফেলছে। সাধারণত রাজধানীর বিভিন্ন নামকরা সরকারী হাসপাতালের দালালদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা এসকল হাসপাতালে চিকিৎসা ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে এসে প্রতারিত হয়। এসকল অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত না হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিম্নমানের অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করে অদক্ষ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান, নার্স ও আয়াদের দ্বারা ভুল চিকিৎসা প্রদান করে রোগীদের নানা ধরনের ঝুকির দিকে ঠেলে দেয়। এসকল হাসপাতালের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামাদি এবং নমুনা সমূহ ঝুকিপূর্ণ পরিবেশে সংরক্ষিত হয় যাতে এর কার্যকারিতা বিনষ্ট হয়।

অভিযানে পাওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য অনিয়ম তুলে ধরে তিনি বলেন, এসব হাসপাতাল গুলোর এক্সরে মেশিন এমন জায়গায় রাখা হয় যেখানে ন্যূনতম সুরক্ষা-ব্যবস্থা নেই৷ এতে এক্সরে করতে আসা রোগী, যিনি এক্সরে করাচ্ছেন তিনি এবং আশপাশের মানুষ ভয়াবহ রেডিয়েশনের শিকার হচ্ছেন৷ রি-এজেন্ট অর্থাৎ কেমিক্যালের পাশে রাখা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় জিনিস। অনুমোদন বিহীন এসকল অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অধিকাংশ চিকিৎসকই অদক্ষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই পরীক্ষা-নিরীক্ষাকারী টেকনিশিয়ানদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ভুয়া চিকিৎসক, অনভিজ্ঞ নার্স ও অদক্ষ আয়া দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম৷ অর্থাৎ চিকিৎসার নামে মরণ ব্যবস্থা চালু করে রেখেছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। এসকল অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪