স্টাফ রিপোর্টার-
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মেয়াদ উত্তীর্ণ নিবন্ধন এবং অনিবন্ধিত টেকনিশিয়ান দ্বারা প্যাথলজিকাল ল্যাব টেষ্ট, এক্সরে পরিচালনাসহ অন্যান্য বিভিন্ন অপরাধে ৪টি জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১) এর ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (০৩ মার্চ ) গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা আদায় করা হয়। র্যাব-১এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান এর নেতৃতে ও সিভিল সার্জন গাজীপুর কার্যালয় এর ডা. এস এম আহসানুল্লাহ এর সমন্বয়ে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
মোস্তাক আহমেদ বলেন, সাম্প্রতিককালে রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন হাসপাতাল মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ মজুদ ও বিক্রয় করে আসছে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পরীক্ষণ সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যকে চরম হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এসকল প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব একটি বিশেষ দল গঠন করে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে র্যাব ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্লিনিকে অপচিকিৎসার ফলে বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়। কতিপয় অসাধু ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে চলেছে বলে জানা যায়। তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মেয়াদ উর্ত্তীন রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়াও অনিবন্ধিত ল্যাব টেকনিশিয়ান ও প্যাথলজিষ্ট নিয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসার মান দিন দিন নিম্ন হয়ে আসছে। যার ফলে জনসাধারণের চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে। মিথ্যা প্রতারণারোধ এবং মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে র্যাব উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১ উক্ত বিষয়ে ছায়াহ তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার মাইশা জেনারেল হাসপাতাল এর ব্যাবস্থাপক শরীফ হোসেন কে ১ লাখ টাকা, সেবা হাসপাতালের ব্যাবস্থাপক লিটন খলিফাকে ৫০ হাজার টাকা, ফাতিমা জেনারেল হাসপাতালের ব্যাবস্থাপক তাজুল ইসলামকে ৮০ হাজার টাকা, এবং নিউ লাইভ হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারের ব্যাবস্থাপক মো: আশিক উদ্দীনকে ২০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ২ লাক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।