নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)। গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকায় রবিবার অভিযান চালিয়ে মো. মাহদী হাসান খান (২২) ও মো. আব্দুর রহমান সোহান (২০) নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি জানায়, অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। গ্রেফতার আসামিরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যায় বলে বিজ্ঞাপন দিতো।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডি কর্মকর্তারা জেনেছেন, মাহদী হাসান খান ২০২৩ সাল থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভুয়া ফেসবুক আইডি ও পেইজ খুলে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময়ে উক্ত আইডিগুলো সচল করে এবং ফেসবুকে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফেসবুক আইডি/পেইজ থেকে ব্লক করে দেয়া হয়। টাকা নেওয়ার জন্য ভুয়া নামে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের (এমএফএস) পার্সোনাল ও মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতো।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি, এইচএসসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার আগে উক্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে পরীক্ষার আগে শতভাগ কমন প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিজ্ঞাপন দিতো ও কমেন্ট সেকশনে কমেন্টস করতো। তার বিজ্ঞাপন ও কমেন্টস দেখে পরীক্ষার্থীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রশ্ন দেওয়ার কথা বলে অগ্রীম টাকা নিয়ে তাদের ব্লক করে দিতো।
গ্রেফতারকৃত অপর আসামি মো. আব্দুর রহমান সোহান (২০) আগে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তিনি কোনোরকম কাগজপত্র ছাড়াই ভুয়া দোকানের নামে এমএফএসের মার্চেন্ট একাউন্ট খুলে দিতেন। প্রতারণার টাকা লেনদেনের জন্য সেই মার্চেন্ট সিম আসামি মাহদী হাসান খানকে দিতেন।
সাইবার পুলিশ সেন্টারে তদন্তাধীন ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতারণার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে ফোন ও ইমেইলে (০১৩২০০১০১৪৮ ও cyber@police.gov.bd) যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে।