স্পোর্টস ডেস্ক-
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে ভালো সম্ভাবনা দেখা দিলেও অন্যদের ব্যর্থতায় ছোট স্কোরের শঙ্কা জাগে। অবশেষে টেলএন্ডারদের দৃঢ়তায় দলীয় তিনশ রান পার করেছে টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে ৮৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান করেছে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম ৮ ও শরিফুল ইসলাম ১৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ফিরছে পাঁচ বছর পর। ১৩তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলো নাজমুল হোসেন শান্তর। অভিষেক হয়েছে ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন দীপুর। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ সাবধানী শুরু করে। উদ্বোধনী জুটিতে দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান ৩৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন স্পিনার এজাজ প্যাটেল। ১৩তম ওভারে ব্যক্তিগত ১২ রানে বোল্ড হন জাকির।
দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন জয়। এবার ৭১ বলে ৫৩ রান তোলেন তারা। তবে এই জুটিতে ঝড় তোলেন শান্ত। ৩৫ বলে তিনি একাই ৩৭ রান করেন। কিন্তু ২৫তম ওভারে দলীয় ৯২ রানের মাথায় গ্লেন ফিলিপসের বলে তুলে মারতে গিয়ে কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচে পরিণত হন শান্ত। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা।
মুমিনুল হককে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে আবারও লড়াই শুরু করেন জয়। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি করে জুটিতেও ফিফটি তোলেন এই ডানহাতি। তবে পরপর দুই ওভারে এ দুজনকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরে নিউজিল্যান্ড। ৫৩তম ওভারের পঞ্চম বলে ফিলিপসের দ্বিতীয় শিবারে পরিণত হন ৩৭ রান করা মুমিনুল। আর পরের ওভারে ইস সোধির বলে স্লিপে থাকা ড্যারেল মিচেলকে ক্যাচ দেন জয়। এই ব্যাটার ১৬৬ বলে ১১টি চারে ৮৬ রান করেন। দুজনে মিলে ১৭১ বলে ৮৮ রানের জুটি গড়েন।
পঞ্চম উইকেটে নামা মুশফিকুর রহিম নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। আত্মঘাতী শট খেলে মাঠ ছেড়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। দ্বিতীয় সেশনের পর এজাজ প্যাটেলের বলে মারতে গেলে শটে থাকা উইলিয়ামসন ক্যাচ দেন। ২২ বলে মাত্র ১২ রান করেন তিনি। এরপর কাইল জেমিসনের শিকার হয়ে বিদায় নেন ২০ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ।
অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দীপু ৫৪ বলে ২৪ করে ফিলিপসের শিকার হন। নুরুল হাসান সোহান ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৭৯তম ওভারে ফিলিপসের বলে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দেন। এই ব্যাটার ২৮ বলে ২৯ রান করেন। ব্যক্তিগত ১৬ রানে থাকা নাঈম হাসানকে ফেরান জেমিসন।
কিউই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান গ্লেন ফিলিপস। এছাড়া ২টি করে উইকেট দখল করেন জেমিসন ও প্যাটেল