1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্বে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই-ডিএমপি কমিশনার আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল সবজি, পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কমলেও, কমেনি আলুর দাম ঘোষিত হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ডিএমপি কমিশনার মোঃ সাজ্জাত আলীর দায়িত্বভার গ্রহণ নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক হবেন- প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষেই দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সংঘটিত হবে-আইন উপদেষ্টা

ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে!

  • সময় : সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১১৪

স্টাফ রিপোর্টার –

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি, ডলার মূল্য ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ-অর্থনীতির তিন সূচকেই ইতিবাচক পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে ডলারের সংকট কাটতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে ডিসেম্বর শেষে নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করবে এবং মূল্যস্ফীতি নেমে আসবে ৮ শতাংশের ঘরে।

সম্প্রতি ডলারের দাম কিছুটা কমিয়েছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। তাতে আমদানিকারকরা স্বস্তি ফিরে পেতে শুরু করেছেন। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে রিজার্ভও বাড়তে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। পাশাপাশি সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমেছে প্রায় ৬৪২ কোটি টাকা। দেশের অর্থনীতির এই সুবাতাস আনতে পুরো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তার নেতৃত্বেই সবশেষ নীতি সুদহার বাড়িয়ে ব্যাংক আমানত বাড়ানোর পথে হাটছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে সাধারণ মানুষ ব্যাংক আমানত বাড়াবে তাতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পুরো বিশ্বে অস্থিরতা তৈরি হয় নিত্যপণ্য নিয়ে। আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও হু-হু করে বাড়তে থাকে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। ২০২২ সালের শুরু থেকেই মূল্যস্ফীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের সবশেষ প্রকাশিত হিসেবে অক্টোবর মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে আরও বেশি দুশ্চিন্তা ছিল খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ে। আলোচিত এ মাসে গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি, যা ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর এমন পরিসংখ্যানের পরই মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে নানা পরিকল্পনা নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এরই ধারাবাহিকতায় গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে গত ২২ নভেম্বর ভার্চুয়ালি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যে সভায় বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ যুক্ত ছিলেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর। পরে রোববার সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প দেখছি না। ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ানো মানে মানুষ আগের চেয়ে কম ঋণ নেবে, বেশি আমানত রাখবে। এতে ধীরে ধীরে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। আমরা আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের ঘরে নেমে আসবে।’

ব্যাংকাররাও বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে হয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এমটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এমন নীতি এই সময়ে প্রয়োজন ছিল। মূল্যস্ফীতি কমাতে পুরো পৃথিবীর সব বড় অর্থনীতির দেশগুলো নীতি সুদহার বাড়ানোর পথেই হেঁটেছে।’ তিনি আরও জানান, ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণ কমাতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে কৃষিঋণ বিতরণে তাদের নজর বেড়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে চাইলেই সব নীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বলেন, ‘অনেকে হয়তো এই সুদহার বাড়ানো পছন্দ করবে না, তবে বৃহৎ স্বার্থে এটি উপযোগী সিদ্ধান্ত।’ এ ছাড়া ডলার সংকট কিছুটা কমে আসায় আমদানি স্বাভাবিক হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে গত সপ্তাহে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন-বাফেদা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ-এবিবি। প্রবাসী আয় ও রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের বিপরীতে এখন পাওয়া যাবে ১১০ টাকা। জানা গেছে, অবৈধ পথে ডলারের চাহিদা কমায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো বেড়েছে। তাতে ব্যাংকগুলোতেও ডলারের সংকট কাটতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কমতে থাকা বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভও কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। চলতি নভেম্বরে আকুর দেনা পরিশোধের পরও রিজার্ভ খানিকটা বেড়ে ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যাতে স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার ডিসেম্বরের ১১ তারিখ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ৬৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ডুকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে। তাতে রিজার্ভের ওপর চাপ আরও কমে আসবে বলে প্রত্যাশার কথা আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পাঁচটি ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। যার আওতায় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক থেকে মোট ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা পাচ্ছে। এই অর্থ যোগ হলেও ডলার সংকট কমার পাশাপাশি রিজার্ভের ওপর চাপ আরও কমে আসবে।

এদিকে ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। জুলাই শেষে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ সেপ্টেম্বর শেষে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটিতে। সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বর শেষে যা আরও কমে আসবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪