নিজস্ব প্রতিবেদক-
অনলাইন সাইট থেকে পন্য কিনে স্টোরে রেখে দিলে গ্রাহকের মিলবে কমিশন। এমনই প্রতারনার জালে গ্রাহককে ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার ( ২৪ নভেম্বর) রাত এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,ইনফর্ম এটিইউ (Inform ATU) মোবাইল অ্যাপে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি আভিযানিক দল মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে অনলাইন প্রতারণা চক্রের সদস্য রবিউল ইসলাম (৩০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে ১ টি ল্যাপটপ, ৩ টি মোবাইল ও বিভিন্ন অপারেটর এর ১২টি সীম, পাসপোর্ট, ব্যাংক কার্ড, এনআইডিসহ ব্যাংকের চেক বই জব্দ করা হয়।
অভিযোগকারীর ইনফর্ম এটিইউ অ্যাপে দেয়া তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, ভুক্তভুগী কিছু দিন আগে অনলাইনে Anne Amazon Apps নামক সাইটে দেখতে পান অনলাইন একাউন্ট করে তাদের থেকে পন্য কিনে অনলাইনে তাদের স্টোরে রেখে দিলে গ্রাহককে কমিশন দিবে। তিনি সরল বিশ্বাসে ওই অ্যাপস পরিচালনাকারী সদস্যের কথার উপর বিশ্বাস করে ব্যবসায়িক লাভের আশায় বিকাশ ও রকেট এর মাধ্যমে মোট সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেন প্রতারক রবিউলকে।
এই টাকা ক্যাশ আউট করে আসামী রবিউল ইসলাম গ্রাহককে সমপরিমান মালামাল না দিয়ে প্রতারণা চক্রের সদস্যরা ভাগাভাগি করে নেয়।
ইনফর্ম এটিইউ মোবাইল অ্যাপে প্রতারিত গ্রাহকের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহীত তথ্যের পর্যালোচনা করে এটিইউ এর আভিযানিক দল মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় আসামী রবিউল ইসলাম এর অবস্থান সনাক্ত করে গ্রেফতার।
পরবর্তীতে আসামী রবিউলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনলাইনে চাকরি নামে প্রতারণা, বেটিং সাইটের লোন প্রজেক্টসহ বিভিন্ন অনলাইন প্রতারণার হোতা চীনা নাগরিক লি জিয়াংকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে উত্তরার এক বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। উত্তরায় অভিযান পরিচালনাকালে এই চক্রের সদস্যদের প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩৫ টি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ৪ টি ল্যাপটপ, ২৪ টি সীম কার্ডসহ ইউএসবি পোর্টের হাব জব্দ করা হয়।
বিদেশি নাগরিকসহ সাত আটজন প্রতারক পরস্পর যোগসাজসে ৭ থেকে ৮ মাস ধরে এই অ্যাপ ও চাকরি দেয়াসহ নানা প্রলোভনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলেও জানায় এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানানো হয়।