স্টাফ রিপোর্টার-
৯৫’র পর ৮৮ রান। শেষ তিন ইনিংসে সেঞ্চুরিটা ধরা দেবে দেবে করেও দিচ্ছিল না। কিন্তু কে জানতো, জন্মদিনের জন্য অনবদ্য কর্মটি তুলে রেখেছিলেন বিরাট কোহলি! কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে নিজের ৩৫তম জন্মদিনে অনবদ্য এক সেঞ্চুরি করে কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত-শুভমান গিলরা যে উড়ন্তা সূচনা এনে দিয়েছিলেন, সেটাকে টেনে নিতে থাকেন কোহলি। সে সঙ্গে ১১৯ বল খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৯তম সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। শচিন টেন্ডুলকারও ওয়ানডে ক্যারিয়ারে করেছেন মোট ৪৯টি সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১২ সালের ১৬ মার্চ অনবদ্য সেঞ্চুরিটি করেছিলেন শচিন টেন্ডুলকার। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেটা ছিল ৪৯তম। তবে পুরো ক্যারিয়ারে শততম। সেঞ্চুরিটি করে ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল এক অবস্থানে শচিন নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন কি কোনোভাবে ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ভাবতে পেরেছিলেন, তখনকার তারই কোনো সতীর্থের হাতে ব্যাটনটা তুলে দিয়ে যাচ্ছেন!
বিরাট কোহলি সেদিনও শচিনের সতীর্থ ছিলেন। শচিন যে ম্যাচে ১১৪ রান করে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করে স্মরণীয় হয়ে আছেন, একই ম্যাচে কোহলি করেছিলেন ৬৬ রান।
শচিন তার শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন পরের ম্যাচেই। মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর ভারতীয় ক্রিকেটের পতাকা বহনের দায়িত্ব যেন আপনাতেই এসে চেপে বসে কোহলির ঘাড়ে। শচিনের দেখানো পথটাতেই নিরন্তর হেঁটে চলেছেন তিনি।
৪৬২টি ওয়ানডে খেলে ৪৯তম সেঞ্চুরি করেছিলেন শচিন টেন্ডুলকার। বিরাট কোহলি ২৮৯তম ম্যাচ খেলে পৌঁছালেন এই মাইলফলকে। টেস্টে তিনি করেছেন ২৯টি সেঞ্চুরি এবং টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১টি। শচিনের ১০০ সেঞ্চুরির বিপরীতে কোহলির মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা ৭৯টি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস। সেটি ছিল কোহলির ৪৮তম সেঞ্চুরি। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ৪৯তম সেঞ্চুরিটি করে ফেলতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ৯৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তিনি।
এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেললেন ডাক। অর্থ্যাৎ কোনো রানই করতে পারেননি। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও প্রায় সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হলেন মাত্র ১২ রানের জন্য। ৮৮ রান করে আউট হন কোহলি।
সর্বশেষ নিজের জন্মদিনটাকেই মাইলফলকে পৌঁছার জন্য নির্ধারণ করে নিলেন বিরাট কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে অনবদ্য সেঞ্চুরিটি উপহার দিলেন তিনি। ১১৯তম বলে পৌঁছান সেঞ্চুরির মাইলফলকে। শেষ পর্যন্ত ১২১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকলেন। দলকে এনে দিলেন ৩২৬ রানের লড়াকু পুঁজি।